ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

নাটোরে ২৫ মে থেকে আম সংগ্রহের নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
নাটোরে ২৫ মে থেকে আম সংগ্রহের নির্দেশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠক

নাটোর: আম উৎপাদনে উত্তরাঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় জেলা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর এবার নাটোরেও ২৫ মে থেকে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম সরবরাহ বা বিক্রি বন্ধে প্রতিটি উপজেলায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিনা খাতুন।

 

এছাড়া বৈঠকে জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ, তথ্য অফিস, আম চাষি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে নাটোরে উৎপাদিত ১২ জাতের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে আগামী ২৫ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত আম পাড়া অব্যাহত থাকবে।  

আম সংগ্রহের শুরুতেই ২৫ মে থেকে গোপালভোগ আম পাড়বেন চাষিরা। এরমধ্য দিয়ে নাটোরে শুরু হবে এবারের আমের মৌসুম।

পরবর্তীতে যথাক্রমে ৫ জুন থেকে খিরসাপাত ও রাণীপছন্দ। ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া, লকনা, নাক ফজলী জাতের আম। ২০ জুন থেকে হাড়িভাঙ্গা আম আম্রপালি। ১০ জুলাই থেকে মল্লিকা ও ফজলী। ১৫ জুলাই থেকে বারী-৪। সর্বশেষ ২৫ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম সংগ্রহের সময় নির্ধরণ করা হয়েছে।
নাটোরের আম
এছাড়া আবহাওয়াজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের ৭ থেকে ১০ দিন আগেও আম পাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের নির্ধারিত তালিকায়।

এদিকে বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের আগে বাজারে আমের সরবরাহ ও রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের বিষয়ে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ লক্ষে জেলার সাতটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাঠানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা তথ্য কর্মকর্তাকে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

একই সময় যে সমস্ত ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও তাপের কারণে ‘ব্ল্যাক টিপ’ বা কালো আগা রোগে আক্রান্ত হয়ে আমসহ মৌসুমি ফল নষ্ট হচ্ছে, সেসব ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, আমে ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত ও ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্যই গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনা না মেনে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নাটোরের বাজারে আম উঠতে শুরু করেছে। গত ১০ দিন ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকানো অপরিপক্ব আম। অতি মুনাফার লোভে ইতোমধ্যেই নাটোর শহরসহ আশেপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসব আম আনা হচ্ছে। সময় মতো প্রতিরোধ করা না গেলে মানুষ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মিফতাহুল বারী, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক নবীউর রহমান পিপলু, সাংবাদিক নাইমুর রহমান, আমচাষি রইস উদ্দীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮ 
এআর/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।