সরেজমিনে সোমবার (১৬ জুলাই) উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা কেউ জমির আইল (নালা) পরিষ্কার করছেন।
এ সময় কথা হয় উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের (ইউপি) ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি নেই তাই বাবা-ছেলে মিলে আমনের জমি তৈরিতে বালতি দিয়ে পানি দিচ্ছিন। বর্ষার এই সময়টাতে আগে কখনও বালতি দিয়ে আমনের জমি তৈরির প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে জমি তৈরিতে পানি দিতে হচ্ছে।
বাংলানিউজকে কথা হয় লোহানীপাড়া ইউপির নাগেরহাট সাহেবগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে।
তিনি জানান, বর্ষার শুরুতে জমিতে পানি না থাকায় আমনের জমি তৈরিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। নদী-নালা-খাল বিলে আর আগের মতো পানি নেই। তাই জমিতে শ্যালো মেশিন লাগিয়ে জমি তৈরি করছি। ইতোমধ্যে আমি তিন বিঘা জমিতে শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে আমনের চারা রোপণ করেছি।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় বাংলানিউজকে জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯,৫৮৪ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে দু'শো হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করেছেন। বৃষ্টি না হওয়াতে উপজেলার অনেক কৃষক সেচ যন্ত্র ব্যবহার করে আমনের চারা রোপণ করছেন। বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি নেই এই অবস্থা যদি আরও ১০-১৫ দিন চলতে থাকে তবে আমনের উপর অবশ্যই প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এএটি