ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বিষমুক্ত ফল চাষিদের মডেল জয়নাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
বিষমুক্ত ফল চাষিদের মডেল জয়নাল কৃষক জয়নাল আবেদীনের বিষমুক্ত কালার বাগান। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: ফরমালিনযুক্ত ফলে সয়লাব সারাদেশ। ফলমূলে কেমিক্যালের বিষয়টি যেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশি মুনাফার লোভে বিষ মেশানো ফলমূল বিক্রি এবং উৎপাদনের দিকে দিনদিন ঝুঁকছেন ব্যবসায়ী এবং চাষিরা।

তবে বেশি ফলন এবং অতি মুনাফা লাভের ঊর্ধ্বে থেকে বিষমুক্ত কলা চাষ করছেন হবিগঞ্জ জেলার গুঙ্গিয়াজুরী হাওর এলাকার টঙ্গীরঘাট গ্রামের জয়নাল আবেদীন। এতে এলাকাবাসীকে বিষমুক্ত ফল খাওয়ানোসহ নিজেও দেখেছেন সাফল্যের মুখ।

জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, তিনি মাছ চাষের জন্য বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাওর জমিতে পুকুর করেছেন। প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে পুকুরটির চারপাশে লাগিয়েছেন ৯০০টি সবরি কলার গাছ। প্রতি গাছ বছরে একটি করে কলার ছড়ি দিলেও তিনি পান ৯শ ছড়ি। প্রতিটি ছড়ির পাইকারী মূল্য গড়ে ৭৫০ টাকা। এতে বছরে তিনি সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। তবে একেকটি গাছে অনেক সময় একাধিক কলার ছড়িও পাওয়া যায়।
কৃষক জয়নাল আবেদীনের বিষমুক্ত কালার বাগান।  ছবি: বাংলানিউজ
তিনি জানান, নামমাত্র মূল্যে কলার চারাগুলো রোপণ করে একটু খাটুনি দিয়ে করতে পরছেন বিষমুক্ত কলার চাষ। তবে চারা রোপণের শুরুর দিকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি আগাছানাশক একটি ওষুধ ব্যবহার করেন। শুধু কলা চাষই নয়। ইতোমধ্যে তিনি তার পুকুরের আশপাশে বিভিন্ন ফল এবং বিষমুক্ত সবজি চাষের পরিকল্পনা করছেন। এরই মাঝে পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন।

শুধু মুনাফা লাভের আশায় নয়। কৃষক জয়নাল আবেদীন প্রমাণ করতে চান ইচ্ছা করলেই বিষযুক্ত ফল বর্জন করা যায়। তার এই চেষ্টার প্রতি স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আরও অনেকেই এভাবে বিষমুক্ত কলা এবং শাক-সবজি চাষের পরিকল্পনা নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জয়নাল আবেদীনের কলা চাষের ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়। কলা চাষে তেমন বেশি অর্থেরও প্রয়োজন হয় না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে এসব চাষিদেরকে সময়মত সব ধরণের সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।  

বিষমুক্ত সবজি চাষের ব্যাপারে চাষিদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করে থাকেন কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।