ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

হলুদের সমারোহে মৌমাছির আনাগোনা

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
হলুদের সমারোহে মৌমাছির আনাগোনা সরিষা ফুলে মৌমাছি। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: প্রকৃতিতে বিরাজ করছে শীতের আবহ। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে হলুদের সমারোহ। হলুদ আর হলুদের সমারোহের মাঝে বেড়েছে মৌমাছির আনাগোনা। মধু আহরণে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে মৌমাছিরা।

ইতোমধ্যেই দিগন্তজুড়ে সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে ফসলের মাঠ। সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

বিস্তৃত ফসলের মাঠ জুড়ে হলুদের রাজ্য দেখে মনে হয়েছে ফসলের মাঠে যেন আগুন লেগেছে, সেই আগুনের সৌন্দর্য্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতি প্রেমিদের।
সরিষা ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুই কিশোর।                                          ছবি: বাংলানিউজসদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন ধানের পরে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ফেনীর তারা। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফেনীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. জয়েন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দেশে সরিষার তেলের চাহিদা বাড়ছে। প্রতিবছর দেশে ১২ হাজার কোটি টাকার ১৬ লাখ টন সরিষা আমদানি করতে হচ্ছে। আর সে কারণেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাইছে দেশে সরিষার আবাদ বাড়াতে।

তিনি জানান, বিগত বছরগুলোর চাইতে ফেনীতে বাড়ছে সরিষার আবাদ। চলতি বছর পুরো জেলায় প্রায় ১৪’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছরে ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। আগামীতে ২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
দিগন্তজুড়ে হলুদের সমারোহ। ছবি: বাংলানিউজকৃষিবিদ জয়েন উদ্দিন আরও জানান, এসব সরিষা থেকে যে তেল উৎপাদিত হবে, তা দিয়ে ফেনী জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্রও পাঠানো সম্ভব হবে।  

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু নাইম মো. সাইফুদ্দিন জানান, গত বছর ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়ায় মাত্র ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল, এ বছর সেখানে চাষ হয়েছে ১৮ বিঘা জমিতে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সদর উপজেলার ৫’শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। লাভবান হওয়ায় কৃষক দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।  কৃষকদের যদি বিনামূল্যে সার, বীজ এবং পরামর্শ সহায়তা দেওয়া যায়, তাহলে উৎপাদন এবং চাষাবাদে কৃষকদের আরও আগ্রহ বাড়বে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএইচডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।