উচ্চ ফলনশীল জাতের এই টমেটো চাষ করে স্থানীয় চাষিরা প্রতি বছর বাড়তি আয়ের সুযোগ পেলেও এ বছর টমেটো ক্ষেতে লেটব্রাইট ও জলা রোগের প্রাদুর্ভাবে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এছাড়া মৌসুমের শুরুতে এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় টমেটোর মান যেমন ভাল হয়নি তেমনি দামও কম।
এ বছরও তারা একই আশায় উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো আবাদ করলেও ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেটব্রাইট ও জলা রোগের প্রাদুর্ভাব। এতে কয়েক হেক্টর জমিতে চাষ করা টমেটো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাইরাস জনিত এ রোগের কারণে টমেটোর গাছের পাতা ঝিমিয়ে মাটিতে ন্যুয়ে পড়ে এবং ফল পচে যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এবং বাকিতে স্থানীয় দোকান থেকে সার-কীটনাশক ও কৃষি উপকরণ নিয়ে টমেটো চাষ করে ক্ষেতের এমন অবস্থায় চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের টমেটো চাষি বেলাল হোসেন (৪৮) বাংলানিউজকে জানান, প্রতি একর জমিতে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে তারা টমেটো চাষ করেছেন। টমেটো তোলার সময় ক্ষেতে ভাইরাস ও জলা রোগের সংক্রমণ হওয়ায় এবার লাভ তো দূরের কথা ঋণের টাকা পরিশোধ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
গাড়াতী ছিটমহল এলাকার তুফান আলী ( ৪৮) বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে টমেটো আবাদ করেছি। শুরুর দিকে গাছ ভাল হয়েছে ফলও ভাল ধরেছে কিন্তু ফল বড় হওয়ার সময় পচে যাচ্ছে আবার গাছও ঝিমিয়ে পড়ছে।
টমেটো ব্যবসায়ী সোনা মিয়া (৪৫) বলেন, এবার ক্ষেতে ভাইরাস ও জলা রোগের সংক্রমণ হওয়ায় টমেটোর মান ও আকার ভালো না হওয়ায় দামও অনেক কমে গেছে। গত বছর প্রতিমণ টমেটো যেখানে ৭শ’ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছিল এ বছর সেই দর নেমে এসেছে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকায়।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ বছর জেলায় ১ হাজার ছয়শ’ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া মেঘলা ও বিরূপ হওয়ায় এবার টমেটো ক্ষেতে লেটব্রাইট ও জলা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
আরএ