ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আধুনিক পরিসংখ্যান প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
আধুনিক পরিসংখ্যান প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করবে সরকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা, বক্তব্য দিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান । ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পরিসংখ্যান বিষয়ে আধুনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কথা জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘পরিসংখ্যান বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। এজন্য সুন্দর একটি জায়গা খুঁজে বের করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) জমা দেন। তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটি নিয়ে যেতে পারবো। আমরা চাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি সেন্টার অব এক্সিলেন্সি হিসেবে গড়ে উঠুক। কেননা প্রধানমন্ত্রীও চান আমাদের বেশি বেশি গবেষণা হোক।’

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী কৃষি শুমারি উপলক্ষে বিভাগীয় ও জেলা সমন্বয়কারীদের জন্য এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় বা অন্যকোনো সংস্থার তথ্যের গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে। যেমন ধানের উৎপাদন ও বাস্তবতার হিসাবের মধ্যে ফারাক থাকে, এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।  

কৃষি শুমারির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবাই কৃষকের জাতি। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। কৃষির সব বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত নির্ণয় করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। আগামী ৯ জুন থেকে এ কার্যক্রম চলবে ২০ জুন পর্যন্ত।  

‘এ সময়ের মধ্যে সারাদেশের শহর ও পল্লী এলাকায় শস্য, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে টিম ওয়ার্কভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ’
 
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ক্রটি তুলে ধরুন। ক্রটি কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। এটা ভুল হলে বা অবহেলা হলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অধিক কাজ করতে হবে। সমাজে অন্যায় আছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
 
গবেষণার প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাজ নিয়ে আনন্দবোধ করি। সামান্য সংখ্যা নিয়ে মজার মজার বৈশিষ্ট্য বের করে এই সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী গবেষণা নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। এই বিষয়ে তিনি অনেক উদার। আমাদের আরো গবেষণা করতে হবে। গবেষণার জন্য যা যা করণীয় সবই দেওয়া হবে।  

কৃষির অবদান তুলে ধরে এমএ মান্নান বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। জীবন জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কৃষির উন্নয়ন মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। কৃষিখাত উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং দিক-নির্দেশনায় খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে।  
 
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ধানের উৎপাদন নিয়ে আমরা মধুর বিড়ম্বনায় রয়েছি। ধানের উৎপাদন বেশি হয়েছে। সরবরাহ বেশি হলে দাম একটু কম হবেই। আগামীতে কি পরিমাণে ধান উৎপাদন করা হবে সেই বিষয়ে আমাদের তথ্য দরকার।
 
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। আশা করছি আগামী পাঁচবছরে দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবো। যদিও এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ।  
 
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ধারাবাহিকভাবে কৃষি শুমারির কার্যক্রম চলবে। প্রথম প্রথম জোনাল অপারেশন শুরু হয় গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় জোনাল অপারেশন গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।