ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র হবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, ফাইল ফটো

ঢাকা: আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল। বাংলাদেশে উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তাই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আলু সেন্টার হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের (আপিসি) আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ড. ইউএস সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধ দলের বৈঠককালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় আলুর লেইট ব্লাইট রোগ নিয়েও কথা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সর্বত্রই আলুর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ার ফলে নতুন করে দেশের বেশকিছু জেলাতে এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত আলুর জাতের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে, সে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আলু উৎপাদন করতে হবে। আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদিত আলু নিয়ে কাজ করতে হবে। এর প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি আলুর নানা রকমের ব্যবহার করতে হবে।

বৈঠকে ড. ইউএস সিং বলেন, ভারতেও আলুর অন্যতম সমস্যা লেইট ব্লাইট রোগ। এরপরেও ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম চিপস রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশে একটি আলু কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যেহেতু পূর্ব এশিয়ায় তেমন আলু চাষ হচ্ছে না।

এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বাংলাদেশে কেন্দ্র করার জন্য জমি দেওয়া হবে বলে জানান। যদিও কারিগরি সব সহায়তা দেবে আইপিসি।

এসময় আলুর জাত উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সহায়তা চান কৃষিমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতের জন্য টাকার কোনো সমস্যা নেই। আমরা আপনাদের (আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র) সহযোগিতা চাই, কীভাবে আলুর জাত উন্নয়ন ও তা প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায়, সে ব্যাপারে। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির কারণে কিছু জেলায় আলুর প্রায় ৩০টি জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়। বিগত বছর আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি হয়েছে। এছাড়াও পুষ্টিমান সম্পন্ন মিষ্টি আলুর চাষও হচ্ছে আমাদের দেশে। এ খাতে বাংলাদেশকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হবে। এর জন্য ১২০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া আবার বন্যা হলে কী করণীয়, তারও প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।