ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

বগুড়ায় বেগুনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
বগুড়ায় বেগুনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে হাটে বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে বেগুন তুলছেন কৃষক। ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফ

বগুড়া: ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় বগুড়ায় বেগুনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার ১২টি উপজেলার সবজিখ্যাত গ্রামগুলোর সিংহভাগ কৃষক এ বছর আগামজাতের সবজি আবাদের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন বিভিন্ন জাতের বেগুন।

উপজেলার সবজিখ্যাত গ্রামগুলো ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেগুন চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে। শুরু থেকেই উৎপাদিত বেগুনের দাম বাজারে ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।

ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কোদাল, পাচুনসহ আনুষঙ্গিক কৃষি সামগ্রী নিয়ে সবজির ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা। সবজিখ্যাত বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, গাবতলী উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।

কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা বুলু মিয়া। পেশায় তিনি জাত কৃষক। ছেলে ফজলে রাব্বী ও স্ত্রীকে নিয়ে মাঠের ক্ষেত থেকে বেগুন তুলছেন হাটে বিক্রির জন্য। হাটে বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে বেগুন তুলছেন কৃষক।  ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফবুলু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, নিজের বলতে বসতভিটা ছাড়া রয়েছে এ দেড় বিঘা ফসলি জমি। তিনি তার জমিতে বরাবরই সবজি চাষ করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো দেড় বিঘা জমিতে বেগুন লাগিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এ বছর তার জমি আবাদের উপযোগী করতে হালচাষ, বীজ, কিটনাশকসহ সবমিলে ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার টাকার মতো। ইতোমধ্যেই তিনি কয়েক দফায় ৩৭ হাজার টাকার অধিক বেগুন বিক্রি করেছেন। আগামীতে আরও অনেক টাকার বেগুন বিক্রি করা যাবে।

শাজাহানপুর উপজেলার কৃষক গোলজার হোসেন ও শেরপুর উপজেলার কৃষক জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন অন্য সবজির পাশাপাশি তারা এবার বেশির ভাগ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। দামও ভাল পাচ্ছেন। এছাড়া সবজি চাষে ব্যয় অন্য ফসলের তুলনায় অনেক কম।

তারা আরও বলেন, ক্ষেতের বেগুন উঠানোর শুরুর দিকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন। বর্তমানে একই বেগুন ২৫-৩৫ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। এতে বেগুন চাষিরা এবার ভালো লাভবান হবেন। বেগুন তাদের ভাগ্যের চাকা অনেকটা ঘুরিয়ে দিয়েছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, শীতকালীন সবজি হিসেবে এ জেলায় বিপুল পরিমাণ জমিতে বাধাকপি, ফুলকপি, মুলা, টমেটো, বরবটিসহ অন্য সবজি চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেগুন ও মরিচের পরিমাণ বেশি। এ দু’টো সবজির দাম কৃষক ভালো পেয়েছেন বা পাচ্ছেন। বেগুন ও মরিচ চাষিরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
কেইউএ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad