ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

নীলফামারীতে খরিপ-১ তিস্তা ব্যারেজের সেচ কার্যক্রম শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
নীলফামারীতে খরিপ-১ তিস্তা ব্যারেজের সেচ কার্যক্রম শুরু

নীলফামারী: দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় চলতি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে কমান্ড এলাকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সেচ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

 

সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের খরিপ-১ মৌসুমে বিশেষ করে বোরো আবাদের জন্য যথা সময়ে সেচ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কমান্ড এলাকার কৃষকরা খুশি।  

সংশ্লিষ্টরা জানান, উজান থেকে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ বর্তমানে ভালো রয়েছে। ফলে সাড়ে সাত হাজার সেচ খালের বিপরীতে পাঁচ হাজার কিউসেক পানি মজুদ রাখা সম্ভব হচ্ছে। সেচ ক্যানেলের পানি খরচ হলে পুনরায় নদী হতে পানি ভরিয়ে দেওয়া হবে সেচখালে।

তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া ও নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী বাংলানিউজকে জানান, ২০২০ সালে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার ডালিয়া-জলঢাকা-নীলফামারী সদর-কিশোরীগঞ্জ-রংপুরের তারাগঞ্জ-পাগলাপীর-গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুরের খানসামা চিরিরবন্দর উপজেলায় চলতি খরিপ-১ মৌসুমী ৩৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের খরিপ-১ (জানুয়ারি টু মার্চ) মৌসুমে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টরে। তবে ওই বছরে সেচ দেওয়া হয় ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার হেক্টর বেশি ছিল। বর্তমানে তিস্তা নদীতে উজানের পানি যেভাবে পাওয়া যাচ্ছে এতে করে আমরা হয়তো এবার ৫০ হাজার হেক্টরে সেচ দিতে পারবো।  

সূত্র মতে, গেল খরিপ-২ মৌসুমে (আমন) তিস্তা কমান্ড এলাকায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পেয়েছিল।  

তিস্তা কমান্ড এলাকার সেচ সুবিধাভোগী কৃষকরা বাংলানিউজকে জানান,  তিস্তা নদীতে এবার উজানের প্রবাহ অনেক ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এবার বোরো ধান আবাদে তিস্তা ব্যারেজের সেচে কোনো ঘাটতি হবে না।  

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীমাতৃক বাংলাদেশের রূপ পুনরায় ফিরিয়ে আনছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় নদী খননের কাজ চলছে। শেখ হাসিনা হবার পর থেকে তিস্তা নদীতে বিশেষ করে শুস্ক মৌসুমে কোনো সময় পানির ঘাটতি ছিল না। উজানের প্রবাহে বিগত সময়ের মতো এবারো কৃষকদের চাহিদা মতো সেচ দিতে পারবো। তিস্তার পানি চ্যুক্তি না হলেও বিগত সময়ের ন্যায় চলমান শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানির গড় হিসাব চলছে ৫/৬ হাজার কিউসেক। এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি সেচ পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।