ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

যুবলীগ নেতাকে হুঁশিয়ারি, নির্বিঘ্নে তরমুজ বেচবে চাষিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
যুবলীগ নেতাকে হুঁশিয়ারি, নির্বিঘ্নে তরমুজ বেচবে চাষিরা

বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের সব তরমুজ চাষিদের জিম্মি করে সমিতির নামে চাঁদাবাজি করায় ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিমকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহজাহান হোসেন।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এম. বালীয়াতলী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এর আগে, শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বানাই ডিএন কলেজ চত্বরে তরমুজ চাষিদের সামনেই আবদুল হালিমকে এ হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হয়।

 

চাঁদাবাজ হালিম ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ সেলিমের ছোট ভাই। তিনি গত ৩ বছর ধরে বালিয়াতলী ইউনিয়ন তরমুজ সমবায় সমিতির নামে তরমুজ চাষিদের জিম্মি করে নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছিলেন।

পুলিশের উপস্থিতিতে কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর তরমুজের ফলন শুরু হলেই আবদুল হালিমের গঠনকৃত এ সমিতির কার্যক্রম শুরু হয়। সারাবছরে কৃষকদের অনুকূলে এ সমিতি কোনো কাজ না করলেও ফলন মৌসুমে তার চাঁদাবাজির গ্রুপ সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতিটি তরমুজ পরিবহনে শ্রমিক মূল্য দুই টাকা, ট্রাক মূল্য দুই টাকা এবং সমিতি পাবে দুই টাকা এমনি হারে চাষিদেরকে জিম্মি করে তরমুজ প্রতি ছয় টাকা করে নিচ্ছিল। এমনকি হালিমের গঠিত এই সমিতির মাধ্যমে শ্রমিক এবং ট্রাক নিয়ে তরমুজ পরিবহন করতে হবে এমন সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন তিনি। এ কারণে কৃষকদের চড়া মূল্য দিয়ে শ্রমিক এবং ট্রাক ভাড়া করতে হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদেরও জিম্মি করে তার মাধ্যমে তরমুজ ক্রয়ে বাধ্য করা হয়। মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে তার ফাঁদে অনেক কৃষকরাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

হালিমের সব কার্যক্রমের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন- বানাই এলাকার আ. মালেক, নূর হোসেন, লিটন, মোজাম্মেল, হেউলিবুনিয়া এলাকার সোহাগ মোল্লা, তালতলীর সাখাওয়াত এবং লতাকাটার পনু মাঝি। এদের মাধ্যমেই হালিম তার সব নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকেন।  

মনসাতলী গ্রামের কৃষক পনু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, হালিমের ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। তাদের কষ্টার্জিত ফসল প্রতি বছর সমিতির নামে হালিম জিম্মি করে থাকে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান তারা।

জেলা পুলিশ এ খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সমস্যার কথা শুনে আবদুল হালিমকে জনসম্মুখে শাসিয়ে আসেন।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহজাহান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বরগুনায় এমন চাঁদাবাজদের স্থান হবে না। কৃষকরা নির্বিঘ্নে তরমুজ বিক্রি করবে। সেক্ষেত্রে যাবতীয় সহযোগিতা দেবে জেলা পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।