ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

নাটোরে চালু হলো ‘কৃষকের বাজার’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
নাটোরে চালু হলো ‘কৃষকের বাজার’

নাটোর: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নাটোরে কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের স্বাভাবিক মূল্য নিশ্চিত করাসহ মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণে চালু করা হলো কৃষকের বাজার।

এই বাজারে প্রান্তিক কৃষকদের পণ্য সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রির সুযোগ পাবেন উৎপাদনকারী চাষিরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার বসবে এই বাজার।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই উদ্যেগ নিয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মে)  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল মাঠে ব্যতিক্রমী এই কৃষকের বাজারের উদ্বোধন করেন নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিফুল ইসলাম শিমুল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্র জানায়, করোনা সংকটের মধ্যে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের স্বাভাবিক দাম পাচ্ছিলো না কৃষকরা। তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি জেলার বাইরে বাজারজাতকরণও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এতে বেগুন, ঢেঁড়স, কুমড়া, টমেটোসহ বিভিন্ন শাকসবজি কখনো পানির দরে বিক্রি কিংবা রাস্তায় ফেলে দিতেও দেখা গেছে কৃষককে।

এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহে দুইদিন কৃষকের পণ্য মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করতেই কৃষকের বাজার চালু করার উদ্যাগে নেয় জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদফতর।

কৃষকের বাজারে আসা আবুল কালাম আজাদ নামের একজন প্রান্তিক কৃষক বলেন, গত দুই মাসে বেশ কয়েকবার বিক্রি করতে না পেরে উৎপাদিত বেগুন ফেলে দিতে হয়েছে। বাজারেও তুলতে পারিনি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে। এখন কৃষকের বাজারে বেগুন বিক্রি করতে এনেছি। যা খরচ হয়েছে তাও উঠছে, কিছু মুনাফাও হয়েছে।

সবজি ও নানা ধরনের ফল উৎপাদনকারী হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকের প্রাপ্য মুনাফা ভোগ করে। এই বাজার আরো সংগঠিত হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রোধ করা সম্ভব হবে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বাংলানিউজকে বলেন, কৃষকের বাজার কৃষকদের স্বার্থে খুবই সময়োপযোগি একটি উদ্যোগ। এতে একদিকে যেমন কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে, তেমনি ভোক্তারাও কম দামে শাকসবজি ক্রয় করতে পারবেন। এতে বণ্টন ব্যবস্থার চিরাচরিত মধ্যসত্বপন্থা দূর হয়ে যাবে।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ( ডিডি) সুব্রত কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্কটকালে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমুল্য প্রাপ্তি এবং নিরাপদ সব্জি বিপনণের লক্ষ্যে এই বাজার প্রতিষ্ঠা করা হলো। এরফলে কৃষকরা তাদের পণ্য সরাসরি বিক্রিয় করতে পারবেন এবং বাড়তি লাভের মুখ দেখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।