ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

সৈয়দপুরে গ্রামীণ সড়কে সবজির সমারোহ

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
সৈয়দপুরে গ্রামীণ সড়কে সবজির সমারোহ সড়কের পাশে সবজির মাচা। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে সবজির সমারোহ। গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে সারি সারি শাক-সবজির মাচা।

মাচাগুলো ভরে গেছে সবজি গাছের সবুজ লতাপাতা, ফুল ও সবজিতে। এতে কোনোটিতে ফুল এসেছে, আবার কোনোটিতে ফল ধরেছে। খাওয়ারও উপযোগী হয়েছে কোনো কোনোটি সবজি। আর খাবার উপযোগী সবজির মাচাগুলো থেকে সবজি সংগ্রহ করছেন গ্রামের কৃষক-কৃষাণী। সেসঙ্গে চলছে সবজি গাছের নানা রকম পরিচর্যাও। গ্রামের কৃষক-কৃষাণীরা নিজেরাই চাষাবাদ করে নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন। এতে করে অন্যান্য এলাকার মানুষও রাস্তার ধারে পড়ে থাকা জমিতে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  সবজির সমারোহের এই চিত্র মিলেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর ব্লকে। ওই ব্লকের সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়ক থেকে পাখাতিপাড়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের সবজি। এরমধ্যে রয়েছে শিম, লাউ, ঝিঙে, মিষ্টিকুমড়া, শসা, সজিনা প্রভৃতি। পাশাপাশি রয়েছে আম, লিচুসহ নানা ফলদ গাছের চারাও।
 
এলাকার উপকারভোগী মমতাজ আলী, মানিক ও অন্যান্য কৃষকরা বলেন, সড়কের ধারে সবজি চাষে পাশের জমিতে সে ধরনের কোনো ছায়া পড়ে না। ফলে এ কাজে কেউ বাধা দেয় না। এতে করে সবজি চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি।  

পাখাতিপাড়ার রাস্তার ধারের সবজির মাচা থেকে সবজি সংগ্রহ করছিলেন মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম।  

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের অতি বৃষ্টিতে জমিতে লাগানো অনেক শাকসবজির ক্ষেত পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে বাজারে শাকসবজি তুলনামূলক কম। তাই বাজারে চড়া দামে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি বেচাবিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের গ্রামীণ সড়কে লাগানো সবজি বৃষ্টির কারণে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাই আমরা রাস্তার দুই ধারে লাগানো সবজি দিয়ে বর্তমান সময়ে পরিবারের তরিতরকারির দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে পারছি। ফলে আর আমাদের বাজার থেকে বেশি দামে শাকসবজি কিনতে হচ্ছে না। এতে আমাদের সংসারে শাক-সবজি খরচ  অনেকটাই সাশ্রয় হচ্ছে।  ব্লকটির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আশা বলেন, প্রথমে এলাকার কৃষকদের সচেতনতার জন্য সভা-সমাবেশ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠলে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ ও চারা দেওয়া হয়। ফলে এলাকার কৃষকরা সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন। তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এসব বাজারে বিক্রি করতে পারছেন।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগম বলেন, গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষে ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। তারা নিজেরাই তদারকি করছেন। তবে কারিগরি সহযোগিতা ও পরামর্শ কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, পরবর্তীতে গ্রামের অন্যান্য সড়কের পাশেও এসব সবজি চাষের পরিকল্পনা নিয়ে কৃষি বিভাগ এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।