ঢাকা: আগামী মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ ৫০ হাজার হেক্টর বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বোরোর চাষযোগ্য কোনো জমি যাতে খালি না থাকে সে ব্যাপারে কৃষকদের উৎসাহ দিতে হবে।
রোববার (২২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বন্যাসহ নানা কারণে এ বছর আমনের উৎপাদন ভালো না হওয়ায় ধানের দাম খুব বেশি। যেটি নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। সেজন্য যেকোনো মূল্যে আমাদের আগামী মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এ বছর ধানের ভালো দাম পাওয়ায় চাষি-কৃষকরা খুশি ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় আছে। অন্যদিকে আমরা কৃষকদের বোরো ধানের উন্নত বীজ সরবরাহ করছি। সার, সেচসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় যে প্রণোদনা দিচ্ছি তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, শুধু বোরো ধান নয়, সামনে রবি মৌসুমে যে ফসলগুলো আছে যেমন: পেঁয়াজ, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, শাকসবজি, মাসকলাইসহ সব ফসলের উৎপাদন বাড়াতে এখনই কাজ করতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিসহ সারাদেশে ভুট্টা চাষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই এসব ফসল অত্যন্ত সফলভাবে উৎপাদনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্য আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। উৎপাদন বাড়িয়ে সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট দুই হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি প্রায় ১৩ শতাংশ।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা) মো. আব্দুল কাদের ও সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
জিসিজি/আরবি