ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

তরমুজ চাষে সফল প্রবাস ফেরত সোহেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২২
তরমুজ চাষে সফল প্রবাস ফেরত সোহেল

চাঁদপুর: বাজারে সাধারণত দেখা মেলে সবুজ বা গাড়ো সবুজ বর্ণের তরমুজ। কিন্তু ব্যতিক্রমী সোনালি বর্ণের বিদেশি গোল্ডেন ক্রাউন, বা ‘মাল্টা তরমুজ’ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা সোহেল রানা।

গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ তরমুজ চাষ শুরু করেন। একদিকে যেমন সফলতা পেয়েছেন, অন্যদিকে লাভবান হয়েছেন তিনি। সোহেল রানার এই নতুন জাতের তরমুজ চাষে সফলতা দেখে উপজেলার অনেকেই এই চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। বিশেষ করে পবিত্র রমজানে এর চাহিদা খুবই বেশি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ফল। সাধারণত উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি এই তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। সাধারণত তরমুজ মাটিতে হলেও এটি মাচায় বড় হয়। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৫৫-৬০ দিনের মাথায় ফল কাটা শুরু হয়। এ তরমুজের আদি নিবাস তাইওয়ান। নতুন জাতের তরমুজটি উপজেলায় গত বছর থেকে চাষ শুরু হলেও বাজারে ভাল দামের পাশাপাশি চাহিদাও রয়েছে বেশ।

তরমুজ চাষি সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, সবসময় বাজারে চাহিদা সম্পন্ন নতুন জাতের ফসল ও সবজি চাষ করেন । নতুন জাতের ফল ও সবজি চাষ করেন বলেই উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বরাবরই সহযোগিতা পেয়ে থাকেন তারা। ইউটিউব দেখে গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজের বীজ নিয়ে আসেন তিনি।

কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে শীতকালীন ফসল শেষ হওয়ার পরে সেই জমিতে পরীক্ষামূলক ২০ শতক জমিতে বীজ বপন করে। বীজ বপনের পর গাছ ছয়টি লম্বা হলে বাঁশের চটা দিয়ে মাচা দেয়া হয়। বপনের ২৫-৩০ দিনপর ফুল আসে এবং দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ফল কাটা শুরু হয়।

তারা আরও বলেন, বাজারে ভাল দামের পাশাপাশি চাহিদাও রয়েছে বেশ। সপ্তাহ খানেক পরই তরমুজ বাজারে উঠবে। বাজারে বর্তমানে এই তরমুজের প্রতিটির দাম ২০০ থেকে ৩শ’ টাকা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। এই তরমুজ চাষে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এক লাখ টাকা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমন হোসেন বলেন, মাঠ পর্যায়ে সকল ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, বিষমুক্ত ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে গোল্ডেন তরমুজ ক্ষেতে। এ ক্ষেত্রে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকা দমন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নতুন জাতের এই তরমুজ চাষে কৃষক সোহেল রানাসহ অন্যদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে কৃষি বিভাগ। এই সোনালী রঙের গোল্ডেন ক্রাউন বা ‘মাল্টা তরমুজ’ চাষ ছড়িয়ে দিতে উপজেলায় বিভিন্ন চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।