১.
চোখের ভিতর ডুব দিয়ে দেখি, চোখ আজ কুকুরের মতো স্মৃতিবহুল
আমি চাই, কথা বলুক তেড়ে যাক, সন্দেহভাজনের পা কামড়ে ধরুক
পুরাপুরি কুকুর হয়ে যাক চোখ!
২.
আমাকে বারান্দায় শুতে দাও
বারান্দার পরেই তুমি আমাকে আকাশের ঠিকানা দাও
অচল মানুষ মেঘ, চিল আর কাটা ঘুড়ির
ভেসে যাওয়া দেখে
চায়ের ঘ্রাণ, ছোটো মেয়েটির স্নান
ঘরের ভেতর চুল, কারো হাত—
আমি মশারি থেকে বেরিয়ে এসেছি,
আমার সংসার আসে না
৩.
ভালোবাসা পড়ে আছে, পাও দেখেনি
জুতো পরে চলে গেছে, ধুলো মেখে চলে গেছে
সবাই সাঁতার কেটেছে যখন পা ধুয়ে পড়ে গেছে
মাছেরা সাঁতারের সময়, সেতুর দুপাশে কত যে কথাবার্তা শোনে
আর বোঝে—কেন এত থমথমে হয়ে থাকে লেজ
৪.
ওইখানে, শিল ঘষা শব্দের মতন পাখির ডাক, ঘন গাছের ভিতর
শিস কাটা বাতাস, নৈঃশব্দের রূপকথা বিছানো ঘাসের পাশে সেই কুটির।
সেই তো এক মেয়ে, ঘোমটায় ঢাকা ম্লান একটুকরো মুখ নিচু করে
পিষে যাচ্ছে হলুদ।
৫.
অনামা নদীর প্রবাহ মেয়েটিকে স্পর্শ করেও বয়ে যায়, চাল ধোয়া হাতে
ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। অন্ধকারে দাঁড়াশ সাপের ছায়ায় প্রায়ই চমকে, স্মরণ
করে এক স্মরণাতীত বিন্নীর খইভরা থালা। যেন মাত্রই কেউ দাওয়ায় বসে
নলেণ গুড়ের সাথে মেখে খেতে খেতে ছোট ঘোমটার আড়ালে দেখছে
এতটুকু মুখ। প্রাচীন প্রাচীরের গা ঘেঁষে জবা দুলে যাচ্ছে আপন মনে।
জবা, সেই ফুল যা লাল পঞ্চমুখী, কেউ খোঁপায় পরলে পোয়াতির মতো স্ফীত
মনে হয় তার সুচারু পেট, অনুভূত হয় স্তন ছাপানো আর্দ্রতার ঘাম।
অসাড়বৎ এক শাল গাছের উদ্দেশ্যে বলতে শুনি, ওই তো, স্বর্ণপিয়াসু
শ্রমিক, খুঁড়ে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫