শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে সারাদেশের কলেজ থিয়েটার তথা ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলনের বাছাইকৃত ১২টি নাটক নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মিলনায়তনে শুরু হয় মূল উৎসব। এসময় আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, বাংলাদেশ গ্রুপ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ এবং বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। সভাপতিত্ব করেন রাজধানীর সরকারি বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফেরদৌসী খান।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সবারই থিয়েটার করা উচিত। শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, সময়ের প্রয়োজনে আমাদের নিজেদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান সঠিক শিক্ষা নিয়ে সুন্দরভাবে সংস্কৃতি বান্ধব পরিবেশে বেড়ে উঠুক। সংস্কৃতি নিজেকে ভালোবাসতে শেখায়। আর যে নিজেকে ভালোবাসে, সে দেশ ও সমাজকে ভালোবাসতে পারে।
কামাল বায়েজীদ বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব দেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাইবো সরকার সংস্কৃতিতে বাজেট আরও বৃদ্ধি করুক। আমাদের উচিত শিক্ষার্থীদের শুরু থেকেই সংস্কৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানোর। আর কলেজ ও ক্যাম্পাস থিয়েটারগুলো সে ধরনের কাজই করে থাকে।
উৎসবের প্রথম দিন রাজধানীর বাংলা কলেজ যুব থিয়েটার, পিপলস ইউনিভার্সিটি থিয়েটার এবং যশোরের ডা. আ. রাজ্জাক মিনিউসিপ্যাল কলেজ থিয়েটার মঞ্চায়ন করে 'শাস্তি', 'ক্লাসরুম' ও 'কলিমউদ্দিন দফাদার' শীর্ষক নাটক।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/আরবি/