শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সফিউদ্দীন আহমেদ, কামরুল হাসান, শফিকুল আমীন, আনোয়ারুল হক, কাইয়ুম চৌধুরী, মুস্তাফা মনোয়ার রফিকুন নবী, হাশেম খান, মনিরুল ইসলাম, শিশির কুমার ভট্টাচার্য্য থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের শিল্পীদের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। প্রবীনের সঙ্গে এ যেন নবীনদের সেতুবন্ধন।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত ৭০ বছরপূর্তির প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আজকের এ আয়োজনটির একটি বিশেষ দিক আছে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিল্পীরা অনুপ্রেরণা পাবেন। তুলনামূলক একটি পর্যালোচনাও করতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই জাতি বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছে। শিল্পীরা যুগে যুগে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সত্যের পথ ছাড়েননি। শিল্পীদের মধ্যে অদম্য শক্তি আছে এবং এটি চারুকলা অনুষদের ঐতিহ্য।
নিসার হোসেন বলেন, কত ক্রান্তিকালে মধ্য দিয়ে আমাদের চারুকলা আজকের এই অবস্থানে এসেছে তা একটি অনুধাবণের ব্যাপার। আমাদের চারুকলার অর্জনটি আসলে বিশাল। দেশের শিল্পাঙ্গণে কারুশিল্প চর্চা, শিক্ষা, আন্দোলন সংগ্রাম এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে শিল্পী মুর্তজা বশীর, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, মুস্তাফা মনোয়ার, সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও রফিকুন নবীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
পরে ১ ও ২ নং জয়নুল গ্যালারিতে মোট ১০৭জন শিক্ষক-শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত ১১ দিনের এ প্রদর্শনী সম্পন্ন হবে ২০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি