ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

কেভিন বাংলাদেশ ছাড়ছেন শনিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪
কেভিন বাংলাদেশ ছাড়ছেন শনিবার

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য বিদায়ী বিতর্কিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন স্টিল শনিবার বাংলাদেশ ছাড়ছেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, কেভিন স্টিল বৃহস্পতিবার বিমানে তার শেষ অফিস করেন।

ওইদিন অফিস শেষে সন্ধ্যায় আর্মি গলফ ক্লাবে কেভিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয়।  

অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। শনিবার সকালে বিমানের লন্ডনের ফ্লাইটে কেভিন নিজ দেশ ইংল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কেভিনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা গেছে, বিমানের চাকরি ছাড়ার পর তিনি আর কোনো এয়ারলাইন্সে যোগ দেবেন না। দেশে ফিরে কেভিন পরিবারকেই সময় দেবেন।

পদত্যাগের পর কেভিনকে আরো কয়েকমাস দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হয়েছিল। কেভিন খণ্ডকালীনভাবে সহযোগিতা করতে রাজি হলেও তার স্ত্রী ১৭ এপ্রিলের পর আর একদিনও কেভিনকে বিমানে দেখতে চাননি। এ কারণে বৃহস্পতিবারই তিনি বিমান থেকে বিদায় নেন।

কেভিন স্টিল গত ২৩ মার্চ বাংলানিউজের কাছে তার পদত্যাগের কথা স্বীকার করেন। এরপরই গণমাধ্যম জুড়ে তার পদত্যাগের নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগের পেছনে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখালেও মূলত বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমদের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বনিবনা না হওয়াতে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।  

এদিকে, বিমান নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জন্য এরই মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বিদেশি কাউকে পেতে কেভিন সহায়তা করবেন বলেও জানা গেছে।

পদত্যাগের পর কেভিন বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, যক্ষ্মা রোগের কারণেই আমাকে বিমানের এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। কারণ আমার আগে থেকেই যক্ষ্মা রোগ ছিল। তাছাড়া আমার স্ট্রোকও হয়েছিল। এসব কারণে চিকিৎসক বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। কিন্তু বিমানের এতো চাপের চাকরি করে আমার পক্ষে বিশ্রাম নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।

কেভিন স্টিল গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম বিদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে বিমানে যোগ দেন। এরপর তিনি দুই বছরের মধ্যে বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ঘোষণা দেন।

এর প্রায় এক বছরের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২১৪ কোটি টাকা লোকসান দেয়। ২২ লাখ টাকা বেতন, বিনামূল্যের টিকেটসহ সবমিলিয়ে কেভিনের পেছনে প্রতিমাসে বিমানের খরচ ৩০ লাখ টাকা। এই পরিমান অর্থ লোকসানের পর তার বিমানে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

বিমানের লন্ডনের জায়গা বিক্রি করা, বোয়িংয়ের কাছ থেকে কেনা ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ বিক্রি করে ভাড়ায় উড়োজাহাজ নেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে শুরুতে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান এই ব্রিটিশ নাগরিক।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ঘন্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।