ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

১৫ বছরে এভিয়েশন খাতে প্রায় ৩ গুণ প্রবৃদ্ধি হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
১৫ বছরে এভিয়েশন খাতে প্রায় ৩ গুণ প্রবৃদ্ধি হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন আগামী ১৫ বছরে দেশের এভিয়েশন খাতে প্রায় ৩ গুণ প্রবৃদ্ধি হবে। সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এভিয়েশন খাতেও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নতুন বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার অ্যাস্ট্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন শিল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করনে। সে সময় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত ১২৬ নং অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিভিল এভিয়েশন অথরিটি গঠিত হয়। এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা যে কাজ শুরু করেছিলেন, সেটি এখন তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল, ১০টি হ্যাংগার নির্মাণ, রানওয়ে শক্তিশালী করন, কক্সবাজার বিমানবন্দরে সমুদ্রে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ দেশের সব বিমানবন্দরে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

এছাড়া, দেশের সব বিমানবন্দরে রাডার স্থাপনসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এভিয়েশন খাতেও ব্যবসা বাড়ছে। বর্তমানে বিদ্যমান দু'টি এয়ারলাইন্সের দিন-দিন রুট সংখ্যা বাড়ছে। আশাকরি আজ যাত্রা শুরু করা নতুন এই এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রাও ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। আমি দেশের নবীনতম এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি এবং শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে নতুন একটা এয়ারলাইন্স আসছে, এটা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। আমি সেজন্য তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইন্ডাস্ট্রিকে আরও বেগবান করতে সহায়তা করছেন। ২০৪১ সালে আমরা একটি উন্নত দেশে উন্নীত হব। তার জন্য যেসব ইলিমেন্ট থাকা দরকার, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যোগাযোগ। এই যোগাযোগ খাতে অবদান রাখছে এয়ারলাইন্সও। আমি প্রত্যাশা করছি, আপনারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে আসছেন, যাত্রীদের সেবা দেওয়ার, এটা অব্যাহত রাখবেন। ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস সেফটি এবং যাত্রীদের সেবা এই দুটো বিষয় খেয়াল রাখবেন। যেসব এয়ারলাইন্স বসে গেছে, তারা যাত্রীদের সেবাটা ঠিকমত দিতে না পারায় বসে গেছে। আমি আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

অনুষ্ঠানে নতুন এ এয়ারলাইন্সেরর  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, এয়ার অ্যাস্ট্রা কঠোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে, যার প্রমাণ হচ্ছে অত্যাধুনিক ফ্লাট সেফটি ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহার করছে। আশা করছি, আমরা যাত্রীদের উন্নত সেবা দিতে পারব। আমাদের যাত্রার পথ যারা সুগম করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

পরে প্রতিমন্ত্রী এয়ার অ্যাস্ট্রার নতুন বহর ঘুরে দেখেন। এ সময় সিভিল এভিয়েশন অথিরিটি ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।