ঢাকা: জাতীয় সংসদের নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য আসছে মে মাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন সংলাপে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এসব দলের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়বাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (জাপা), জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও বিজেপি।
বস্তুত সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এরপর খসড়া চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় এখন তারা যতো দ্রুত সম্ভব সংলাপে বসতে চান বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বংলানিউজকে বলেন, ‘আগামী (মে) মাস থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু হতে পারে। তাদের সঙ্গে আলাপ করেই সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া চাইলে সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আগে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি চূড়ান্ত করুক। ’
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেন, ‘আদমশুমারী অনুসারে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব । এ ব্যাপারে তাদের পদক্ষেপ নেওয়াই স্বাভাবিক। ’
এদিকে সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারনের জন্য ইসির সঙ্গে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে রাজনৈতিক দলগুলোও। সংলাপে যার যার দলীয় মতামত তুলে ধরার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন নেতারা।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবশ্যই আমাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে। ’
বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাজধানীর পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলাতে জনসংখ্যা বাড়ছে। তাই জনসংখ্যার অনুপাতে আসন পুনর্বিন্যাস হতে পারে। নির্বাচন কমিশন ডাকলে আমরা আমাদের মতামত তুলে ধরবো। ’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ‘সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে বড় কোন ঝামেলা হওয়ার কথা নয়। এ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না করাই ভালো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল,২০১১