ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

লিবিয়া ফেরতদের পুনর্বাসনে তালিকাভুক্তির কাজ চলছে

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১১
লিবিয়া ফেরতদের পুনর্বাসনে তালিকাভুক্তির কাজ চলছে

ঢাকা: লিবিয়াফেরত বাংলাদেশিদের পুনর্বাসনে তালিকাভুক্তির (রেজিস্ট্রেশন) কাজ শুরু হয়েছে। রাজধানীর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং সারাদেশে বিএমইটির ৪০টি ডেমো অফিসে এ তালিকাভুক্তির কাজ চলছে।



প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব জাফর আহমেদ খান শুক্রবার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

লিবিয়ায় গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশিরা দেশটি ছাড়তে শুরু করেন।

এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আরও প্রায় ৮৫০ বাংলাদেশি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিশর-লিবিয়া সীমান্তের আল সালৌমে অবস্থান করে দেশে অপেক্ষায় আছেন। এছাড়াও আরো অনেকে দেশে ফিরতে চাইছেন।

প্রবাসীকল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান জানান, ফেরত আসা কর্মীদের আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে তাদের সে অনুযায়ী পুনর্বাসন করা হবে।

সচিব বলেন, ‘এদের মধ্যে কেউ যদি আবার বিদেশ যেতে চান, তবে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তাকে অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। যারা আর যেতে চান না তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে কর্মসংস্থানমূলক ঋণ দেওয়া হবে’।

এছাড়া যারা ফেরত এসেছেন তাদের সবাইকে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানান জাফর আহমেদ খান।

রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি এবং দেশের ৪০টি জেলা শহরে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ক ডেমো অফিসে সশরীরে হাজির হয়ে লিবিয়া ফেরতদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এরইমধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

লিবিয়া থেকে ফেরত আসাদের পুনর্বাসনসহ লিবিয়া ইস্যু ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে ২৭২ কোটি টাকা দেবে বলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।  

এ টাকা থেকে অবশ্য লিবিয়া ফেরতদের দেশে আসার খরচ হিসেবে ৯২ কোটি টাকা আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থাকে (আইওএম) দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংকের টাকা এখনও বাংলাদেশের হাতে আসেনি বলেও সূত্রটি জানায়।

এদিকে লিবিয়া ছেড়ে মিশরের আল সালৌম সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে আইওএম অর্থাভাবে এখন আপাতত আর কোনো বিশেষ বিমান ভাড়া করতে পারছে না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।

বিমানের ব্যবস্থা করার জন্য আইওএম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন মহাপরিচালক শুক্রবার বিকেলে বাংলানিউজকে জানান, বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ বিমানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত অবশ্য বিমান নতুন করে কোনো ফ্লাইট সিডিউল নির্ধারণ করেনি।

ওই মহাপরিচালক আরও জানান, বিশেষ ফ্লাইট পাওয়া না গেলেও বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে কায়রো থেকে তাদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।