ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

স্পেকট্রাম চার্জের ভ্যাট নিয়ে বিটিআরসি-এনবিআর মুখোমুখি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১

ঢাকা: মোবাইলফোন অপারেটরদের স্পেকট্রাম ও অন্যান্য ফিসের ওপর নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

বিটিআরসি  বলছে, চূড়ান্ত হওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী কোনো রকমের বিয়োজন ছাড়াই পূর্ণ টাকা বিটিআরসিকে দিতে হবে।


 
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বলেছেন, এটাই  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার বিটিআরসি থেকে গ্রামীণফোনকে ইস্যু করা চিঠিতেও এর উল্লেখ রয়েছে। একই দিন রাতে এনবিআর বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও অপারেটরদের চিঠি দিয়ে জানা হয়েছে যে, ভ্যাটের টাকা তাদের কাছে দিতে হবে। কেন এ টাকা তাদের দিতে হবে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ভ্যাট গ্রহণের এখতিয়ার আইনগতভাবে তাদের।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চাওয়া এক ব্যাখ্যার জবাবে  জাতীয় রাজস্ব  বোর্ড  এক চিঠিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছে, ভ্যাট দিতে হবে এনবিআরকে। বিটিআরসি যে টাকা দাবি করেছে সে টাকা থেকে ১৫ শতাংশ হারে কেটে রেখে অপারেটররা যেন টাকা জমা দেন।

১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনের ধারা ১৮(ঙ) মতে, লাইসেন্সিং/ নবায়ন ও অন্যান্য ফি/ চার্জেস/ রাজস্ব ভাগাভাগি  ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।

এনবিআরের ব্যাখ্যা আমলে নিলে বিটিআরসি প্রায় ১১শ কোটি টাকা কম পাবে। এ টাকা নির্ধারিত ফি’র ওপর থেকে তাদের ১৫ শতাংশ হারে পাওয়ার কথা ছিল। এখন এ টাকা পাবে এনবিআর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোস বলেন, আমরা এর ব্যাখ্যা চেয়েছি। ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। পরবর্তী করণীয় শিগগিরই ঠিক করা হবে।

চলতি মাসের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক , রবি ও সিটিসেলকে তাদের স্পেকট্রাম  ফিসের ৪৯ শতাংশ টাকা বিটিআরসির কাছে জমা দিতে হবে। বিটিআরসি এক চিঠিতে তাদের এ নির্দেশ দিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘন্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।