ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

নিজামের সদর দফতর জাহাইজ্জার চর

রহমান মাসুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১২
নিজামের সদর দফতর জাহাইজ্জার চর

চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ। প্রকৃতির খেয়ালের ওপর ভর করে চলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা।

তার ওপর জলে-স্থলে দস্যুদের অতর্কিত হানা এখানকার মানুষকে রাখে চরম অনিরাপত্তায়। পুরোটাই এক সন্ত্রাসের উপকূল। এই বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এক পক্ষকাল চষে বেড়িয়েছেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রহমান মাসুদ ও ফটো করেসপন্ডেন্ট উজ্জ্বল ধর। সেখান থেকে তুলে এনেছেন সন্ত্রাসের ওই জনপদের অনেক সচিত্র কাহিনী। শনিবার তৃতীয় কিস্তি ...

সন্দ্বীপের পশ্চিমে মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর ‘জাহাইজ্জার চর’। ১০ বছর আগে জেগে ওঠা এ চরের আয়তন আনুমানিক ২০০ বর্গ মাইল। যা প্রতিবছরই বাড়ছে। পুরো চরের ৯০ ভাগই ঘন ম্যানগ্রোভ  জঙ্গল। কেওড়া, গেওয়া, লোনা গাছের সঙ্গে আছে স্থানীয় জাতের কাঁটাজাতীয় ও গুল্ম জাতের গভীর প্যারাবন। জনমানবহীন এ জঙ্গলের মালিকানার দাবি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালীর হাতিয়ার।

কিন্তু চরের চারপাশে কাদা এবং গাছের শুল থাকায় কোনো জেলার প্রশাসনই যেতে পারে না এ চরে। ফলে এ সুযোগ লুফে নিয়েছে এ এলাকার জলদস্যুরা। এ চরে সদরদফতর স্থাপন করে দস্যুরা শাসন করছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা জেলার বিস্তীর্ণ উপকূল ও সাগর এবং মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চল।

বর্তমানে জলদস্যুদের নেতৃত্বে আছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের নিজাম চৌধুরী। তার বাহিনীর নাম নিজাম বাহিনী। এ বাহিনী এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করে বয়ার চর, ঢালচর, উড়িরচর, ক্যারিং চর, চর বাসার, চর ইসলাম, চর কালাম, ঠাঙ্গারচর, নিঝুম দ্বীপ, চর এলাহী, সুবর্ণচর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মনপুরাসহ চট্টগ্রাম, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

বাহিনীপ্রধান নিজামের ভাষ্য অনুয়ায়ী, বর্তমানে নিজামের আশ্রয়দাতা হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে জলদস্যুদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, হাতিয়ার সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমসহ এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষরা। তবে চারদলীয় সরকারের আমলে ওই সংসদ সদস্যরা আগের বাহিনীগুলোকে মদদ দিয়েছে বলেও দাবি সাধারণের।

এ বাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনী হিসেবে সন্দ্বীপের খোকাবাহিনীকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে ফজলুল আজিম এমপি, মোস্তফা কামাল পাশা এমপি, সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল হক চৌধুরী, বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এ বিষয়ে বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন, ‘আমি এখন নির্বাচনী এলাকায় আছি। তাই এ বিষয়ে এখন কথা বলা সম্ভব নয়। দুইদিন পর বিস্তারিত কথা বলব। ’

বরকতুল্লাহ বুলু ও একরামুল হক চৌধুরীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে ফজলুল আজিম এমপি অভিযোগ অস্বীকার করে মোহম্মদ আলীকেই জলদস্যুর গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  

জাহাইজ্জার চরের গহীনে রয়েছে নিজাম বাহিনীর সদর দফতার। বিদ্যুতের জন্য এখানে স্থাপন করা হয়েছে সোলার প্যানেল, সঙ্গে আছে জেনারেটর। সন্দ্বীপের সংসদ সদস্যের দাবি, এ চরে জলদস্যুদের কাছে আছে অত্যাধুনিক লেদ মেশিন। অস্ত্র তৈরির কারখানা। জলদস্যুদের আশ্রয় ও বিশ্রামকেন্দ্র, অস্ত্রাগার ও হাজতখানা।

গহীন জঙ্গলে এ সদরদফতর হওয়ায় ওপর থেকে হেলিকপ্টারেও এসব স্থাপনার অস্তিত্ব ঠাহর করা যায় না বলে দাবি হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ— প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি কেউই যেতে চান না এ চরে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধিকাংশেরই দাবি দুর্গম এলাকা হওয়ায় বিশাল এ অরণ্যে প্রবেশ কারো জন্যই সুখকর নয়। তাছাড়া এ চরের চারপাশের বেশিরভাগ অংশে এক থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর কাদা থাকায় অল্প সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের অভিযানও ফলপ্রসূ হয় না।

ভয়ংকর নিজাম বাহিনীর সদস্যরা এ চরে নৌপথে যাতায়াত করা ছোট নৌযান এবং নৌযানের মানুষদের আটক করে নিয়ে আসে চরের গহীনে। এরপর আটককৃতদের মোবাইল ফোন থেকে কল দেওয়া হয় আটককৃতদের পরিবারের কাছে। দাবি করা হয় বিপুল অংকের মুক্তিপণ। আটককৃতদের শরীর থেকে খুলে নেওয়া হয় কাপড়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে যে কোনো একজনকে দিয়ে পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় আটককৃতদের। এরপর বাকিদের টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয় পরিবারের সদস্যরা।

এ কাজে মধ্যস্থতা করেন সন্দ্বীপ এবং হাতিয়ার জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনেরা। এইসব ভদ্র জলদস্যু এজেন্ট সম্পর্কে মুখ খোলেন না কেউই। স্থানীয় সংসদ সদস্য,  উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসন, জেলে সর্দার, দাদনদাতা, ইউপি চেয়ারম্যান এমনকি ভুক্তভোগী জেলে, সবার মুখেই একই গল্প।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে চলাচলকারী মালবাহী (কার্গো) জাহাজের চলচলকারী রুট জাহাইজ্জার চর এবং চর ইসলামামের মধ্যকার সন্দ্বীপ চ্যানেল। এ পথে প্রতিদিন ৩ শতাধিক জাহাজ চলাচল করে। প্রতিটি জাহাজকেই নিজাম বাহিনীকে চাঁদা দিয়ে চলাচল করতে হয়।

এ ছাড়া বঙ্গপোসাগরের মোহনা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার জেলেনৌকা এ এলাকায় মাছ ধরতে আসে। এসব নৌকাকে জলদস্যুদের কাছ থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হয় স্পেশাল পাস। এ কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখে স্থানীয় এজেন্ট এবং এক শ্রেণীর জেলে।

প্রায় সকলেরই ধারণা, এ এলাকায় কেবল জেলে এবং জাহাজগুলো থেকেই নিজাম বাহিনী প্রতিদিন তিন থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করে থাকে। পারমিট না নেওয়া সকল জেলেকেই আক্রমণে পড়তে হয় নিজাম বাহিনীর। এমন দুটি নৌকা এখনো আটক আছে জাহাইজ্জার চরে। সন্দ্বীপের বাংলাবাজার এলাকার জেলে জামসেদ সওদাগর এবং দিদার সওদাগর টাকা দিতে না পারায় তাদের নৌকা এবং ১২ জেলে আটক আছে নিজাম বাহিনীর কাছে।

একই সঙ্গে আটক নকুল জলদাস ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। তবে আটক থাকার সময়ে সইতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। নকুলকে ছাড়াতে মধ্যস্থতা করেন একজন জনপ্রতিনিধি। টাকা লেনদেন হয় সন্দ্বীপ পৌরসভা কমপ্লেক্সে।

সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা বাংলানিউজকে বলেন, ‘জাহাইজ্জার চর, উড়িরচর শুরু থেকেই জলদস্যুদের দখলে। এখানে প্রশাসন চলে না। হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী এদের নিয়ন্ত্রণ করেন। মেঘনার এ মোহনা থেকে জলদস্যুরা দৈনিক ৫ লাখ টাকা আদায় করে। ’

তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের সবাই লিডারের বেতনভুক্ত কর্মচারী। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্ধষ সন্ত্রাসী, পাহাড়ি দুর্বৃত্ত, পলাতক বিডিআর (বিজিবি) সদস্য, উপকূলীয় বিভিন্ন বিলুপ্ত বাহিনীর সদস্যরা এখন জাহাইজ্জার চরে নিজামের সঙ্গে আছে। ’

নিজাম বাহিনীর এক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘চরের চারপাশে আছে তাদের টলহল বাহিনী। এরা ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা নিয়ে জেলেবেসে টহল চালায়। চরের মধ্যে গাছের ওপর মাচা বেঁধে বানানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। ’

নিজামের সেকেন্ড ইন কমান্ড বাহার কেরানী বলেন, ‘চৌধুরী সাবের জন্য জাহাইজ্জার চর সবচেয়ে নিরাপদ। ’

তিনি বলেন, ‘এখানে বিস্তীর্ণ বন ও কাদা থাকায় প্রশাসন এবং প্রতিপক্ষ বাহিনী সহজে হামলা চালাতে পারে না। তাছাড়া কেউ এ চরে নামলে টহল বাহিনী এবং ওয়াচ টাওয়ারের সংবাদের ভিত্তিতে তা হেড কোয়ার্টারে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং চৌধুরীসাবসহ সবাই সহজেই পালাতে পারে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘জাহাইজ্জার চরে বর্তমানে আমাদের ৫ লক্ষাধিক গরু ও মহিষ রয়েছে। সেগুলো রক্ষা করতেও আমাদের এখানে থাকতে হয়। ’

নিজাম বাহিনীর হাতে বর্তমানে হাতিয়া থেকে ছিনতাই করা একটি অত্যাধুনিক স্পিডবোট, কয়েকটি ইঞ্জিননৌকা এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল রয়েছে। যা দিয়ে সহজেই গাঢাকা দেওয়া সম্ভব।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ চরে অভিযান চালানো একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। ২০/৫০ জন ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে এদের ধরাও অসম্ভব। কেবলমাত্র এ ধরনের চরে একসঙ্গে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ’

জাহাইজ্জার চরে যাওয়ার চেষ্টা বিফল, ফিরলাম দস্যুনৌকার ধাওয়া খেয়ে
সন্দ্বীপ থেকে এনজিওকর্মী হিসেবে ঢুকি বর্তমানে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ চর উড়িরচরে। কিন্তু সেখানে ঢোকার পর থেকেই জেদ চাপে জাহাইজ্জারচর যাওয়ার। অফিসে ফোন করলাম, শ্রদ্ধেয় এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনকে। তিনি কড়া নির্দেশ দিলেন, ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা বন্ধ করে নিজামের সদরদফতরে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করলাম। প্রতিদিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় সন্দ্বীপের জাহাজঘাটায় এসে দাঁড়াই আমি আর বাংলানিউজের ফটো সাংবাদিক উজ্জ্বল ধর। দূরে আবছা দেখা যায় জাহাইজ্জার চর। নৌকার মাঝিদের সঙ্গে কথা বলি। কেউই ১৬ কিলোমিটারের এ চ্যানেল পেরুতে চায় না। এক লাখ টাকা দিলেও নাকি কেউ যাবে না, সবার এক কথা। এ যেন ‘দেশের মধ্যে অন্য এক দেশ’। এক রাতের আঁধারে অচেনা এক মাঝি রাজি হলেন গোপনে জাহাইজ্জার চরে নিয়ে যেতে। কিন্ত কাছে ভেড়া যাবে না। হাইস্পিড ছোট নৌকা চরের পাশ দিয়ে যাবে শুধু, তাও ওই পাশে কেউ না থাকলে। যেতে হবে লুঙ্গি, গামছা পরে। উজ্জ্বলের ক্যামেরা থাকবে পাটাতনের নিচে। রাজি হলাম। পরদিন সকালে ছুটল ছোট্ট একটি মাছধরা নৌকা। আমরা উড়িরচরের বাইরের দিক দিয়ে জাহাইজ্জার চরের দিকে গিয়ে ধাওয়া খেলাম জলদস্যুদের। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধেয়ে এসে ধরতে না পেরে ফিরে গেল জলদস্যুরা। এবার আমরা ছুটলাম ঠ্যাঙ্গারচরের দিকে হাতিয়া চ্যানেলের উদ্দেশ্যে। এখান থেকে আস্তে ধীরে চর ইসলামের পাশ দিয়ে জাহাইজ্জার চরের সীমানায়। সেখানে নোঙর করা ৩ শতাধিক অভ্যন্তরীণ জাহাজ অপেক্ষা করাছে জোয়ারের জন্য। এইসব জাহাজের আড়াল নিয়ে পৌঁছালাম জাহাইজ্জার চরের কাছে। কাছ থেকে দেখা গেল জলদস্যুদের টহল নৌকা। ততক্ষণে জোয়ার হয়ে যাওয়ায় ছোট নৌকাটা পৌঁছে গেল চরের কাছে। নোনাবনে জলদস্যুদের একটি দল বসে আছে দেখতে পেয়ে উজ্জ্বল ক্যামেরা বের করল। ক্যামেরা দেখে দস্যুরা আক্রমণ করতে ভুলে গিয়ে নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করল। ক্যামেরার ক্লিক শেষ হওয়ার অপেক্ষা না করেই পালাতে শুরু করল আমাদের নৌকা। দূর থেকে দেখলাম ধেয়ে আসছে ডাকাতের নৌকা। আমরা ততক্ষণে নৌকার কোলের মধ্যে। অবশেষে ফিরে এলাম সন্দ্বীপে।
 
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৭ ঘণ্টা, ১৬ মার্চ, ২০১২

আরএম/এআর
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
চূড়ান্ত সম্পাদনা : জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।