ক্রিকেট
ওয়াংখেড়েতে বাস থেকে একে একে নামলেন সবাই। পুনে থেকে মুম্বাইয়ের পথটা চার ঘণ্টায় বাংলাদেশ দল পাড়ি দিয়েছে বাসে চড়ে। এরপর একদিন দল ছিল
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দুই দল। চার ম্যাচের একটিতেও হারেনি তারা। তবে সেই ধারা কারা বজায় রাখতে পারে সেটাই আজ দেখার পালা।
ছেলে তখন কেবল ফিল্ডিং শেষ করে এসেছেন। বাবা ভারত শুক্লা উৎকণ্ঠার চোখে তাকিয়ে, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না জানতে চাইলেন এই ম্যাচে
নিজেদের শেষ ম্যাচে অঘটনের শিকার হয়েছে দুই দলই। তবে সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আফগানিস্তানের
আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় নেদারল্যান্ডস। তাই আত্মবিশ্বাস টইটম্বুর করছিল তাদের শরীরে। অন্যদিকে টানা
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি কককে হারিয়ে ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রিজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন
ওপেনিং জুটিতে কেবলই রেকর্ড গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ২৫৯ রান যোগ করেন তারা। বিশ্বকাপে
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের সুবাদে দুর্দান্ত কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন
শুরুটা ভালো হয়নি। হাল ধরতে পারেনি মিডল অর্ডারও। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফলে মাত্র ৯১ রানেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। সেখান থেকে সাইব্রান্ড
বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে অঘটনের শিকার হয়েছে দুই দল। আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড আর
মাঠে চলছিল পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। দলকে সমর্থন দিতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন কয়েকজন পাকিস্তানি সমর্থক। তাদেরই একজন
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় পরাজয়ের পর বেশ চাপে পড়েছে পাকিস্তান দল। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল তারা। কিন্তু পরের
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। জবাব দিতে নেমে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয়
দুই ধারে উঁচু উঁচু পাহাড়। গাড়ির জানালায় চোখ রাখলেই দেখা মিলছে গাঁধা ফুলের। এর মধ্যেই দ্রুতগতিতে চলছে গাড়ি। পুনে-মুম্বাই হাইওয়ের
বেঙ্গালুরুর উইকেট মানেই যেন রানবন্যা। বিশ্বকাপেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ছয় ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার লম্বা একটা মানুষ। তাকে দেখে চিনতে না পারার কোনো কারণ নেই। ধর্মশালার প্রেসবক্স লাগোয়া রেডিও কমেন্ট্রি
খেলতে নেমেছিলেন নিজের নবম ম্যাচ। এর বেশিরভাগই খেলেছেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে। এর আগে কখনোই সেভাবে বড় ইনিংসও
অস্ট্রেলিয়ার সেই পুরোনো রূপ যেন ফিরে এলো। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর ঘুরে দাঁড়ায়
দারুণ শুরুর পরও দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি ব্যাটাররা। ২৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের লড়াই করার মতো কিছুই ছিল না বলা যায়। তার
মিরপুরের 'স্লো এন্ড লো উইকেটে' টানা খেলার পর যখন দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে যায় টাইগাররা, তখনই টের পাওয়া যায় বাস্তবতা। ভিন্ন ধরনের
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন