৪১. ছোটখালার বাসার উঠানের কোণে করমচা গাছের নীচে আমি আর অন্তরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। চারপাশে থোকা থোকা অন্ধকার। আমরা কেউ কারও মুখ দেখতে

৪০. ভালোবাসা টেনে আনে, ভালোবাসা দূরে সরিয়ে দেয়। মার্গারেটের কাছ থেকে এক ধরনের ভালোবাসা বুকে নিয়ে আমি চলে আসি আরেক ভালোবাসা

৩৯. একটি গাড়ির কাছে কত অসহায় একটি কবিতা। বোঝা যায় সন্ধ্যার ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ালে। প্রতি মিনিটে সেখানে একটি করে গাড়ি সুগন্ধি

** নীল উড়াল: সপ্তত্রিংশ পর্ব ৩৮. তানিয়া মেয়েটি অসাধারণ দক্ষতা দেখালো বটে। তারুণ্যের কর্মস্পৃহায় সে কতটা প্রাণচঞ্চল, বাইরে থেকে টের

৩৭. মার্গারেট আমাকে দেখে উত্তেজনা ও আনন্দে উল্লসিত হয়ে চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে কাছে এলো। কিছু বলার বা শোনার আগে সে আমাকে গভীর আবেগে জড়িয়ে

৩৬. জেগেই দেখি অনিন্দ্য আলোর ভোর। শামুকের পিঠের মতো পুরোটা দ্বীপের বালুচর চকচক করছে অলৌকিক সূর্যালোকে। চারপাশের সৈকতে আছড়ে পড়ছে

৩৫. সাইফুল ভালো ব্যবস্থাই করেছে। ট্রেনে জানালার কাছে সিট পেয়েছি। বেচারা সারাটা দিন বড় খেটেছে আমার জন্য। এই বাজারে কে কার জন্য করে!

৩৪. ঝড়ের বেগ পেয়েছে সাইফুলের ‘উড়াল যাত্রা’। সে চাপা আতঙ্কে বললো: -স্যার, এখন কই যামু? আমি কোনো উত্তর দিতে পারি না। মার্গারেটের

৩৩. বিপদে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আস্থার কাউকে মনে পড়ে। পলাতক জীবনের শুরুতেই অজানার পথে নেমে আমার ‘উড়াল যাত্রা’র কথা মনে এলো। সাইফুল

৩১. এনামুল সিডিটা শক্ত ভাবে প্যাকেট করলো। একটি ছোট্ট চিরকুট লিখে প্যাকেটের মধ্যে ঢুকালো। এনামুলের মুখ এখন আরও ম্লান। মনে হচ্ছে কে

৩০. অভিজাত এলাকায় খাসা অফিস সাজিয়েছে এনামুল। পয়সা থাকলে যা হয়। আজকাল অফিসের জৌলুস দিয়ে অর্থ, বিত্ত, শক্তি, প্রতিপত্তি প্রদর্শন করা

২৯. মার্গারেট সফর বাতিল করে ঢাকাতেই রয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে ছুটি নিয়েছে সে। আমাকে নিয়ে কয়েক দিন হাসপাতালে টানাটানি করায়

২৮. বাংলাদেশে সেমিনার মানে এক এলাহি ব্যাপার। যত না কাজ, তার চেয়ে হৈ-হাঙ্গামা বেশি। লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষ্যই এখানে প্রধান। সেমিনারের

২৭. তানিয়া নামে এক মেয়ে ফোন করেছে। নারী কণ্ঠ শুনে আমি সজাগ হয়ে গেলাম। মলিদের তীক্ত অভিজ্ঞতা আমাকে এখনও ধাওয়া করছে। এই মেয়ে মলিদের

২৬. যথেষ্ট দৌড়-ঝাঁপ হয়েছে। শরীরের উপর দিয়েও ধকল কম যায় নি। তথ্য-উপাত্ত প্রচুর পরিমাণেই আমার নোট খাতায় জমা পড়েছে। ফ্ল্যাটে বসে

২৫. শ্রাবণের মাঝামাঝি। স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে দক্ষিণমুখো কাঁচা রাস্তা ধরে আমরা হাঁটছি; আমি, সঙ্গে এনামুল। দৌলতপুর-পুটখালী গ্রামের

২৪. মহাবিরক্ত কণ্ঠে ফোন করেছে এনামুল: -কি হয়েছে তোর? বলেছি না আমাকে না বলে কোথাও যাবি না! আমি চুপ করে রইলাম। জানি, আমার গতিবিধি

২৩. ড. ইমদাদের পর ড. মনোয়ারের সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলা দরকার। মাঠের তথ্য আর বিশেষজ্ঞদের মতামত মিলিয়ে পুরো ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ চিত্র

২২. রাতের রমনার অভিজ্ঞতা আর পরদিনের অন্যান্য তথ্যগুলো নোট করে রাখছি। সাইফুলের সঙ্গে ‘উড়াল যাত্রা’ মন্দ হয় নি। বিচিত্র মানুষের

২১. ড্রাইভার সাইফুল দাঁত কেলিয়ে বললো: -স্যার, এইডা হইলো ‘উড়াল যাত্রা’! আমি অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি: ‘উড়াল যাত্রা’! বেশ নাম