ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করে একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, আসন্ন কপ-২৮ সম্মেলনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘দ্য রোড টু দুবাই: এক্সপার্ট কনসালটেশন অন থিমেটিক প্রোগ্রামস অব কপ-২৮’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কপ-২৮ এর থিমেটিক বিষয়গুলি অর্থাৎ জলবায়ু, অভিযোজন, অর্থায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, পানি, প্রাকৃতিক সম্পদ, এনার্জি, শিল্পায়ন, নগরায়ন, স্বাস্থ্য, নারী এবং যুবসম্প্রদায়, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসা, যানবাহন, বহুমাত্রিক দায়িত্ববোধ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি আলোচনা পূর্বক বাংলাদেশের প্রস্তুতি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। এর ফলে আসন্ন কপ-২৮ এর বৈশ্বিক আলোচনায় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন সম্ভব হবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, কপ-২৮-এ অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশসমূহে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড অপারেশনালাইজ করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা; ‘গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন’ এর কাঠামো তৈরি করা। এছাড়াও, উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশসমূহ কর্তৃক ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত করা: অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে হবে।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান।
কনসালটেশন ওয়ার্কশপে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, তরুণ জলবায়ু যোদ্ধা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ