ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মেহেরপুরে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪০.৬ ডিগ্রিতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
মেহেরপুরে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪০.৬ ডিগ্রিতে প্রতীকী ছবি

মেহেরপুর: মেহেরপুরের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে তাপমাত্রা আগের বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এদিন দেশের সর্বোচ্চ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, গেল কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে মেহেরপুরসহ আশপাশের এলাকার জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।  

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায ও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৭ শতাংশ। এর আগে এদিন দুপুর ১২টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৩ শতাংশ।
 
আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এদিকে তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের রক্ষায় রোদে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এরই মধ্যে তাপদাহে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসাপাতালে শিশু রোগী ভর্তি বাড়ছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বৃদ্ধরা। আর প্রভাবটা সবার আগে পড়ে হাসপাতালের ওপর। ‘এই সময় শিশুদের বাইরে বের না করাই ভালো।  

অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে হাসপাতালের এই তত্ত্বাবধায়ক আরও বলেন, রেকর্ড ছাড়াতে পারে তাপমাত্রা। শিশুদের স্কুল সাধারণত সকালে। কিন্তু ফেরার সময়টা সাবধানে আসতে হবে। যেন তারা ছায়ায় থাকে।

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। আর যন্ত্রে যে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, বাইরে অনুভূত হচ্ছে তার চেয়েও প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পূর্বাভাস রয়েছে, এ বছর তাপমাত্রা অন্যান্য বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।  

এদিকে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে, লেবু ও বেলের শরবতের দোকান, আখের রসের দোকান ও কোমলপানির দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তায় তেমন লোকজন পাওয়া যাচ্ছে না। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কেউ বের হচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।