দিনাজপুর: ঘন কুয়াশা আর কনকনে হিমেল ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত উত্তেজনা দিনাজপুরের জনজীবন। গত দুদিন ধরে ঠিকমতো দেখা মিলছে না সূর্যের।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। আর বাতাসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় চার কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে।
আবহাওয়াবিদদের ভাষায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেটা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর যদি তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আরও নিচে নেমে যায়, তাহলে তাকে তীব্রতর শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে দিনাজপুরের তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি রয়েছে।
এমন আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। গায়ে মোটা জামা কাপড় জড়িয়ে তাদের কর্মস্থলে বের হতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, উত্তরের হিমালয়ের সামনে জলীয় বাষ্প বলয় অবস্থান করায় ঠান্ডা বাতাস ছিল না। বর্তমানে জলীয় বাষ্প বলয় অপসারিত হয়ে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এই আবহাওয়া আগামী দু-একদিন থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
তবে ৩ তারিখের পরে আবারও জলীয় বাষ্প বলয় হিমালয়ের সামনে অবস্থান করলে বাতাসের গতিবেগ কমে গিয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫
এসআইএস