জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বণ্যপ্রাণী শাখার আয়োজনে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু কনসার্ভ দি আদারস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অনেক বণ্যপ্রাণী হিমশিম খাচ্ছে। কোনো কোনো বণ্যপ্রাণী প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে আজ বিলুপ্তির পথে। প্রকৃতিকে বাসযোগ্য করার দায়িত্ব মানুষের। এ জন্য বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, শিশুর নাচন দেখার জন্য আজ ভোঁদরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না, শিশুকেই এখন ভোঁদর খুজতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক ভোঁদর সংরক্ষণ ফান্ডের প্রধান ড. পল ইয়ক্সন, আইইউসিএন-এর বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ।
বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা বেগমের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ বলেন, বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায় বণ্যপ্রাণীর মধ্যে ভোঁদর একটি। পৃথিবীতে ৫ প্রজাতির ভোঁদর রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির ভোঁদর রয়েছে। নড়াইল, খুলনা, সিলেট এবং পাবর্ত্য অঞ্চলে ভোঁদর লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেন, ভোঁদর জীব-জগতের অংশরিহার্য অংশ। বাংলাদেশে নড়াইলে চিত্রা নদীর পাড়ের জেলে সম্প্রদায় বিগত তিন শ বছর ধরে ভোঁদরের সাহায্যে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। ভোঁদরের আয়ুষ্কাল ২০ বছর।
উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হলে ভোঁদর দেশের যে কোনো স্থানে প্রজনন ঘটাতে পারে উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বণ্যপ্রাণী শাখার ব্যবস্থাপনায় ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভোঁদরের প্রজনন পরীক্ষা সফল হয়েছে।
কর্মশালার অংশ হিসেবে সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) নড়াইলে এবং ৯-১২ ডিসেম্বর সুন্দরবনে ফিল্ড ভিজিট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪