সোমবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম থেকে সর্বশেষ এ তথ্য জানা গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা'র প্রভাবে ঘর ছেড়ে লোকজন জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত সাইক্লোন সেন্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ১৪ উপজেলার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে বাঁশখালীর ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৫০ হাজার, সন্দ্বীপের ২০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার, আনোয়ারার ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার, সীতাকুণ্ডের ৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ থেকে ৭ হাজার, কর্ণফুলীর ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ থেকে সাড়ে ৬ হাজার এবং মহানগরের ঝুঁকিপূর্ণ ৫০০ পরিবার নিরাপদে ও পতেঙ্গার আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০০ জন, মিরসরাইয়ের ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০০ এবং চন্দনাইশের ৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭০ জন এলাকাবাসী আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন আলী বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রট দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে আসা প্রায় ৩০০ মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খিচুড়ি ও ত্রাণের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন তিনি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শনে যান। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এসবি/টিসি/জেডএম