ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়-কালবৈশাখী-তাপপ্রবাহ-বন্যা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৯
এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়-কালবৈশাখী-তাপপ্রবাহ-বন্যা কালবৈশাখী ঝড়/ফাইল ফটো

ঢাকা: কালবৈশাখীর মৌসুমে চৈত্র-বৈশাখ মাসে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ও দেশের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এছাড়াও ইংরেজি বর্ষের এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
 
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা শেষে এপ্রিল মাসে এমন দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরে সংস্থার পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  
 
আবহাওয়া অধিপ্তরের পরিচালক জানান, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দু’একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
 
‘এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২/৩ দিন মাঝারি/তীব্র বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) ও দেশের অন্যত্র ৫-৬ দিন হালকা/মাঝারি বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। ’
 
এ মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
 
‘এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (>৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং অন্যত্র দু’একটি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)/মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ’
 
এ মাসের নদ-নদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে এপ্রিল মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অন্যান্য নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মার্চে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলেও বেশি হয়েছে ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে।
 
মার্চেও বিরূপ আবহাওয়া ছিল দেশে। গত ৩১ মার্চ দেশের অধিকাংশ স্থানে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার।
 
আর ২৬ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 
বুধবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
 
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, এই সমেয় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।