ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পরিবেশ আন্দোলনের জন্য প্রাণও দিতে পারি: সুলতানা কামাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
পরিবেশ আন্দোলনের জন্য প্রাণও দিতে পারি: সুলতানা কামাল

ঢাকা: বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, পরিবেশ আন্দোলনে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা পরিবেশ বিষয়ে কথা বলতে পারি, প্রশ্ন তুলতে পারি। রাস্তায় নামতে পারি, সেই সঙ্গে প্রাণও বিসর্জন দিতে পারি। পরিবেশের আন্দোলনে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া বিরল নয়, অনেকেই দিয়েছেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে বাপা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যকারিতা: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সুলতানা কামাল বলেন, পরিবেশ আন্দোলনকারীদের নিয়ে অনেকে উপহাস করেন।

পরিবেশবাদীদের আন্দোলন নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু একটা কথা আজকে সারা বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে যে, পরিবেশবাদীরা আছেন বলেই পৃথিবী টিকে আছে। পরিবেশবাদীরা না থাকলে, আন্দোলন না করলে, আজকে হয়তো অনেক প্রাণী পৃথিবী থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেত।  

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বাপা সভাপতি বলেন, এখানে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন। শুধু ক্ষমতায় গেলেই যে সব কিছু করা যায়, একথা সত্য নয়। যারা রাজনীতি করেন, তারা তো মানুষের স্বার্থে, কল্যাণে রাজনীতি করেন। ক্ষমতায় থাকেন আর না থাকেন, যেকোনো অবস্থান থেকেই মানুষের জন্য কাজ করা যায়।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে সুলতানা কামাল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যখন ক্ষমতায় যান, তখন তারা পরিবেশের কথা বেমালুম ভুলে যান। শুধু ভুলে যাওয়াই নয়, কখনো কখনো তারা বৈরী অবস্থানও গ্রহণ করে। সেই জায়গায় পরিবেশ আন্দোলনে ঝুঁকি নিয়ে হলেও আমাদের কাজ করতে হবে। এই ধরিত্রী বাঁচানোর নৈতিক দায়িত্ব আমাদের সবার। দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। এই মালিকানা সাংবিধানিকভাবেই আমাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর তরুণ বয়সের কথা উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বঙ্গবন্ধু হননি, যখন জাতির পিতা হয়ে ওঠেননি, এই দেশের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেননি, সেই সময় ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘সিনসিয়ারিটি অব পারপাস এবং অনেস্টি অব পারপাস না থাকলে কেউ কোনোদিন কিছু অর্জন করতে পারে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ বিষয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলেন।

‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশা করবো, তার কথাগুলো যেন শুধু মুখের কথা না হয়। প্রধানমন্ত্রী তার কাজে তার বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত সেই সিনসিয়ারিটি অব পারপাস, অনেস্টি অব পারপাসের পরিচয় রাখবে। বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় আন্তরিকভাবে সহযোগিতার ভূমিকা রাখছে। আমরা পরিবেশ রক্ষায় সরকারের ১০০ ভাগ সমর্থন দাবি করি। ’

উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাপার নির্বাহী সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আলী নকী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।