ঢাকা: ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসায় উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে, পদ্মাসহ আটটি নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে থাকায় সিরাজগঞ্জসহ মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অব্যহত থাকার আভাস রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত।
তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতি অব্যহত থাকবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের আটটি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন জেলার ১২টি স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আত্রাইয়ের পানি বাঘাবাঢ়িতে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিনে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, লক্ষ্যার পানি নারায়ণগঞ্জে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তুরাগের পানি কালিয়াকৈরে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কালিগঙ্গার পানি তারাঘাটে ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরীর পানি জাগিরে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া পদ্মার পানি গোয়ালন্দে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভাগ্যকূলে ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, মাওয়ায় ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও সুরেশ্বরে ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গড়াই নদীর পানি কামারখালীতে প্রবাহিত হচ্ছে ৪ বিপৎসীমার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং মেঘনার পানি চাঁদপুরে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
এগুলোর মধ্যে মেঘনা, তুরাগ ও ধলেশ্বরীরর পানি জাগিরে বেড়েছে। পদ্মাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও একদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার কমেছে।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পানির সমতল বেড়েছে ২৭টিতে। কমেছে ৭৯টি স্টেশনের পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে তিনটি স্টেশনের পানির সমতল। আর ১২টি স্টেশনের পানির সমতল বিপৎসীমার ওপরে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
ইইউডি/এএটি