ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সুনামগঞ্জে সময়মতো শেষ হয়নি বাঁধের কাজ, প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
সুনামগঞ্জে সময়মতো শেষ হয়নি বাঁধের কাজ, প্রতিবাদ

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে শহরের মুক্তারপাড়ায় সংগঠনটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন বলেন, আপনারা নিশ্চই জানেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা আমাদের সব উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ও আপনাদের সংবাদ মাধ্যম দেখে বুঝতে পারছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। নির্ধারিত সময় শেষে ১০ দিন বাড়িয়ে ১০ মার্চ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময়ের মধ্যেও হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। হাওরের অধিকাংশ বাঁধে মাটির কাজ শেষ হলেও দুরমুজ, স্লোপ ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হয়নি। তার মানে এখনো পর্যন্ত হাওরে ৬০-৬৫ ভাগ কাজ হয়েছে। পিআইসির কাজ অনুযায়ী বিল পরিশোধ না করার কারণে এখনো হাওর অরক্ষিত রয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বাঁধে মাটির কাজ করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন হাওরের কৃষকরা। আমরা হাওর বাঁচাও আন্দোলন দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।  

তিনি আরও বলেন, এবার বাঁধের কাজে শুরু থেকেই ঢিলেমি লক্ষ্য করা গেছে। মাঠপর্যায়ে গণশুনানি করে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের দাবি থাকলেও, সেটি করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে পিআইসি গঠন করা হয়। এতে প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের একটা যোগসাজশ থাকে। যে কারণে ওই ব্যক্তিরা কাজে গাফিলতি করেন। আমরা মনে করি, কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকের হাওরের ধানকে হুমকির মূখে ফেলে দিয়েছেন। এবার কৃষকের ধান গোলায় তুলতে কোনো সমস্যা হলে এর দায় তাদের নিতে হবে।

তিনি জানান, শাল্লা উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধের প্রকল্প গ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুর নামে মামলা হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী। জনশ্রুতি রয়েছে, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি। সব মিলিয়ে বাঁধকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির একটি মহোৎসব চলছে জেলার প্রতিটি উপজেলায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অলিউডর রহমান চৌধুরী বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী হায়দার, চন্দন রায়, সদস্য এম আর শামিম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমানসহ অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।