পাথরঘাটা (বরগুনা থেকে) : এই তো হেদিন মাছ ধরতে নদীতে গেলাম আর কোস্টগার্ড মোগো লোকজন ধইরা লইয়া গ্যালো। কি বোলে অবরোদ আছে।
কিন্তু ওই অবরোদের কতা আগে তো মোগো কেউ কয় নাই। মোরা জানি আশ্বিন মাসে একটা অবরোদ থাহে, যা মৎস অফিসথা অফিসাররা আইয়া কইয়া যায়।
এহন তো মাছই ধরা পড়ে না, গত বছর ৭/৮ লাখ টাহার মাছ ব্যাচছি, কিন্তু এ বছরে ৬ মাস পার অইয়া গ্যালেও ৫০ হাজার টাহার মাছও ব্যাচতে পারি নাই। টাহা না অইলে সংসার চলামু ক্যামনে?
রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় এসব কথা বলছিলেন দক্ষিণের জনপদ বলেশ্বর নদীর কোল ঘেঁষে থাকা বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জেলেপাড়ার আব্বাস।
বর্তমান বয়স ২৪ হলেও তার দাবি, আরো ১০ বছর আগে জীবন-জীবিকার টানে তিনি এ পেশায় ঢুকেছেন। তখন থেকেই বাবার হাত ধরে সংসারের হাল ধরতে কখনো নদী, কখনো সাগরে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এ যুবক।
রমজান মাস রোজা রাখেন কি-না এ কথা জিজ্ঞেস করতেই আব্বাস বলেন, মোরা তো হররোজই রোজা থাহি। অভাব আর অনটনে এ গ্রামের বহু জেলে পরিবার দিনের পর দিন না খাইয়া রোজার নাহানই তো থাহে।
মাগরিবের আযানের কিছু আগে তাড়াহুড়ো বেড়ে যায় আব্বাসের। আজান দিতেই আব্বাস ও তার দুই ভাই দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে যান।
বাবা-মা দুই ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেকারির তৈরি রুটি আর ছোলা-বুটের সঙ্গে মুড়ি নিয়েই ইফতার পর্ব শেষ করেন আব্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
আরএ