গত কয়েকদিনের বর্ষণে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে নদীবহুল দুই উপজেলা সদরের সাথে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না বললেই চলে।
ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে কলাপাড়া পৌর শহরসহ বাণিজ্যিক এলাকাগুলো।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর টানা থেকে বৃষ্টির ফলে কলাপাড়া শহরের সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যাংক ও ব্যবসায়িক দোকান খোলা থাকলেও মানুষের উপস্থিতি ছিল একেবারেই হাতেগোনা। বৃষ্টিপাতের সাথে আন্ধারমানিক নদ ও শিববাড়িয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ার দেখা দেয়। এতে বেড়িবাঁধের বাইরের চাতালকল, স-মিল, বরফকল, মাছের আড়ত এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিলন জানান, ভারী বর্ষার কারণে নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের বাইরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। এভাবে চলতে থাকলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন সব ধরনের ব্যবসায়ীরা।
চম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. নুরুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষার কারণে ঘর থেকে কোনো মানুষ বের হতে পারছে না। নদী ও খালের পানি কমছে না। গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট চলাচলের অনুপযোগী। সব পথঘাট এখন পানিতে তলিয়ে আছে।
এদিকে বৃষ্টিরে কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো কর্দমাক্ত হয়ে আছে। এজন্য চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এমএস/জেএম