তরিকের বাবা মহিউদ্দিনও জেলে। বাবার হাত ধরেই নদীতে যাওয়া শুরু তার।
তবে চরম ঝুঁকি নিয়ে শিশু সন্তানকে স্রোতস্বিনী নদীতে নিয়ে যাওয়াটা তার শখ পূরণে নয়, অভাব মেটাতেই বাধ্য হয়েছেন বাবা মহিউদ্দিন। লেখাপড়া বাদ দিয়ে মাছ ধরা ও ঘাটে বিক্রির ফাঁকে ফাঁকে জাল তুনার কাজ সমান তালে চালিয়ে বাবার সঙ্গে অভাবের সংসারের হাল ধরেছে তরিক।
দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া শুরু করায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে সে সময়কার ৯ বছরের শিশুটি।
দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা চালাচ্ছেন হতদরিদ্র জেলে মহিউদ্দিন। তার দুই ছেলে, তিন মেয়ে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তার একার পক্ষে সংসারের খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে অভাব ঘোচাতে ছেলে তরিককে নৌকার বৈঠা ধরতে শেখান।
এখন নদীতে মাছ শিকারে জাল ফেলা, কৌশল খাটিয়ে মাছসহ জাল টেনে তোলা ও জাল তুনার কাজ বাবার সঙ্গে দক্ষ হাতেই সামাল দিচ্ছে তরিক।
মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। নিজের কোনো জমি-জমা নেই। মাছ ধরতে পারলে তবেই পেটে ভাত পড়ে। সংসার বড় হওয়ায় একার পক্ষে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অভাব ঘোচাতে ছেলেকে দিয়ে মাছ ধরাচ্ছি। তার পড়ালেখা শেখার আগ্রহ ছিলো। কিন্তু টাকার অভাবে স্কুলে পাঠাতে পারছি না’।
শিশু তরিকও বলে, ‘পড়ালেখা শেখার খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সংসারের অভাবে বাবার খাটুনিতে সাহায্য করতে গিয়ে স্কুলে যেতে পারছি না। গত তিন বছর ধরে নদীতে মাছ ধরছি’।
** মেঘনার মোহনায় ইলিশ ধরার ধুম
** ইলিশের চড়া দাম কমতির দিকে
** এবার মেঘনায়ও ইলিশ, জমেছে বেচা-কেনা
** ১ ইলিশ ৭০০০ টাকা!
** ঘাটেই ইলিশের হালি ৪১০০ টাকা!
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এএসআর