ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
বেতাগীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: বিষখালী নদীর প্রবল জোয়ার এবং টানা বর্ষণে বরগুনার বেতাগী সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের পোলের হাট বাজার সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাধঁটি ভেঙে গেছে।

ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত একর ফসলি জমি, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা।

চাষাবাদ বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বর্তমানে সেখানের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চারদিকে শুধু পানি থৈ থৈ করছে।  

গত ২৪ থেকে ২৮ জুলাই ৫ দিন ধরে অবিরাম ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এছাড়াও পূর্ণিমা তিথির চাঁদের প্রবল আকর্ষণে জোয়ারে বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।  

লক্ষ্মীপুরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধটি ভেঙে     লক্ষ্মীপুরা, পোলের হাট, ডিসির হাটসহ ৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে অর্ধ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।

জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁচা মাটির রাস্তাঘাট তলিয়ে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।  

করুণা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ফেরদৌস হোসেন জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় বিষখালী নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা ভরানী খাল সংলগ্ন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, ছালেহিয়া এতিমখানা, মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসা ৪/৫ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ছালেহিয়া এতিমখানায় অনেক শিক্ষার্থী অতিরিক্ত পানির কারণে খুব কষ্টে রয়েছে।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বেতাগীর বিষখালী নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হওয়ায় কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পানি আরো ৫/৭ দিন অব্যাহত থাকলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘দুর্যোগপূরর্ণ আবহাওয়ার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বিষখালী ও সুগন্ধা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বেতাগীর এমন পরিস্থিতিতে বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজীব আহসান, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।