ঢাকা: ক্রেতাই ওয়ালটন প্লাজার শক্তি। তাদের আস্থায়ই ওয়ালটন আজ দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড।
ওয়ালটন প্লাজা আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘আমরা সেরা ছিলাম, আমরা সেরা আছি, আমরা সেরা থাকবো’ স্লোগানে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন দেড় সহস্রাধিক প্লাজা ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সম্মেলনে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসায় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সেলস এক্সিকিউটিভদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট ২০২৩’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম, জাকিয়া সুলতানা ও নিশাত তাসনিম শুচি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ এবং ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আর বি গ্রুপের সিইও শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, মো. ইউসুফ আলী, মো. ফিরোজ আলম, সোহেল রানা, মো. ইয়াসির আল-ইমরান, এস এম জাহিদ হাসান, এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার, ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, আরিফুল আম্বিয়া, মো. তোফায়েল আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্বনামধন্য অভিনেতা আজিজুল হাকিম, জিনাত হাকিম, মফিজুর রহমান জাকির, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, ইয়াসিন আলী, মোহসিন মোল্লাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।
চ্যালেঞ্জারস সামিটে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, যারা প্রতিকূল প্রতিস্থিতি মোকাবিলা করে নতুন কিছু সৃষ্টি করেন তারাই হলেন চ্যালেঞ্জার। ওয়ালটন প্লাজার প্রতিটি সদস্য এক একজন চ্যালেঞ্জার। আর চ্যালেঞ্জারদের শক্তি দেশের অগণিত ক্রেতারা। ক্রেতাদের কারণে ওয়ালটন আজ দেশ ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
সে সময় তিনি ওয়ালটন প্লাজাকে ‘ক্রেতা তুমি আপনজন, ঘোর বিপদেও আমরা সাথী সারাক্ষণ’ শীর্ষক নতুন একটি স্লোগান দেন।
এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের বাজার পরিবর্তনশীল। মার্কেট কী ধরনের পরিবর্তন চায়, আমাদের সেলস এক্সিউিটিভরা হলেন তার বার্তাবাহক। তারা যদি সঠিক মেসেজ দেন তবে আমরা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু ওয়ালটন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে গেছে। এখন প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই ফ্রিজ-টিভির মতো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য আছে। ক্রেতারা সব সময় আমাদের পাশে ছিলেন। এর সঙ্গে আমাদের চৌকষ সেলস টিমসহ সব বিভাগের সদস্যদের নিরলস শ্রমে ওয়ালটন আজ শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বজয়ের। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।
মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ওয়ালটন প্লাজার সেলস ফাইটাররা হচ্ছে বিশ্বের সেরা। ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পণ্য। এমন শক্তিশালী সেলস বাহিনী এবং শ্রেষ্ঠ পণ্য থাকতে বিদেশি কোনো ব্র্যান্ড কিংবা পণ্য বাংলাদেশের বাজারে কখনোই সুবিধা করতে পারবে না। দেশের বাজারে সব সময় আমরাই শীর্ষে থাকবো।
তিনি বলেন, বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটন প্লাজাই কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা সুবিধা চালু করেছে। আমরা প্রতিটি ঘরে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পৌঁছে দিচ্ছি। ২০২২ সালে ১২ লাখ ৫০ হাজার ক্রেতা আমাদের কাস্টমার ব্যাংকে যুক্ত হয়েছেন। চলতি বছর আরও ১৮ লাখ কাস্টমার আমাদের ব্যাংকে যুক্ত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি ওয়ালটন প্লাজার কাস্টমার ব্যাংকের আওতায় আসবে। ওয়ালটন প্লাজা হবে দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক।
সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা শাখার সেরা ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজারদের পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
আরবি