বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা সংক্রান্ত সংবাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক বলছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি কর্মকর্তাদের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার পর কয়েকজন কর্মকর্তা এ পরীক্ষার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (ডিভিশন-২) থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে রিটকারী ও ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে।
এতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, একটি বেসরকারি মালিকানাধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিধায় এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরি দেশের প্রচলিত আইন, বিধি-বিধান ও নিয়োগের শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং যেহেতু চাকরি এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের লাভ-লোকসান বহুলাংশে জড়িত, সেহেতু ব্যাংক স্বাধীনভাবে দেশের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতদপ্রেক্ষিতে, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণ এবং চাকরিতে কাউকে রাখা বা না রাখার বিষয় ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ পরীক্ষা আয়োজন ছাঁটাই পরিকল্পনার অভিযোগে দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা বয়কটের ঘোষণা।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মাধ্যমে ২৭ সেপ্টেম্বরে বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। এক্ষেত্রে আদালত অবমাননা বা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি একটি শরিয়াহ কমপ্লায়েন্ট ব্যাংক। রাষ্ট্র ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সব নিয়মাচার পরিপালনের মাধ্যমে এ ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে। তাই উল্লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকে বিধিবহির্ভূত নিয়োগপ্রাপ্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমাদের সম্মানিত গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি।
এএটি