বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে প্রায়ই গরম হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশেষত দল খারাপ করলে ক্রিকেটার ও বোর্ডের সমালোচনা শুরু করেন সমর্থকরা।
এখন অবশ্য দারুণ পারফর্ম করছেন তিনি। বিপিএলে টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহক ছিলেন, রান পেয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জেতাতে ব্যাট হাতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিসিবি সভাপতিকে নিয়েও মাঝেমধ্যেই ট্রল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব নিয়ে রোববার জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
জবাবে মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শুনেন, এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে প্রত্যেকের কিছু বলার পেছনে কিছু কারণ থাকে। প্রথম কথা হচ্ছে আমার ফেসবুক নাই, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কিছুই নাই। কাজে আমি দেখি না। তবে মানুষের কাছে শুনি মাঝেমধ্যে। কথা হচ্ছে একটা পরিকল্পনা নিয়ে আগানো হচ্ছে এখন। পরিকল্পনা নিয়ে আগানোর পরে একটা ছেলের ওপর যখন ইনভেস্ট করা হয়, ওকে আমরা কিন্তু দেখেন লিটন ও সৌম্যকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ’
‘একটা পর্যায়ে এসে সৌম্য এখন দল থেকে বাইরে আছে। ও পারফর্ম করলে চলে আসবে। কিন্তু মেইন স্কোয়াডে নেই। লিটন খুবই ভালো খেলছিল। এই সিরজে প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করেনি। ওর মধ্যে প্রতিভা আছে সেটা জানতে পেরেছি, বুঝতে পেরেছি। ’
শান্তকে নিয়ে পাপন বলেন, ‘শান্তও একই, অনেক আগে থেকে। যখন স্টিভ রোডস আসলো তখন থেকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আস্তে আস্তে পারফর্মও করছে। আমি জানি না কেন মানুষ একটু বেশি অধৈর্য হয়ে গিয়েছিল ওর ব্যাপারে। ও যখন করছিল না তখন আমরা অধৈর্য হয়েছিলাম। আশ্চর্য লাগে ও যখন পারফর্ম শুরু করেছে, তখন যখন বলা হয় সেটা কিন্তু একেবারে উল্টা হয়ে যায়। যখন তাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত, তখন তার মোটিভেশন লেভেল অনেক কমে যায়। ’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে উঠতি খেলোয়াড়দের পরামর্শও দিয়েছেন পাপন, ‘যাই হোক, আমি খেলোয়াড়দের একটা কথাই বলি বিশেষত নতুন খেলোয়াড়দের এসব কিছু দেখবাও না, শোনবাও না। তোমাদের দরকার নেই। খেলায় মনোযোগ দাও। তবে আমার মনে হয় ধারাবাহিকভাবে যেহেতু পারফর্ম করছে। এবং অবশ্যই সেরা ফিল্ডার। এখন এই জিনিসটা (সমালোচনা) কমে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২০১৭ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০২৩
এমএইচবি