চট্টগ্রাম থেকে : তাসকিন আহমেদ পেসারদের জন্য প্রেরণাই বলা যায়। বহু পথ পাড়ি দিয়ে এখন তিনি দেশের পেস আক্রমণের নেতা।
৮ ওভারে ১০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেছিল আইরিশরা। প্রথম দুই ওভারেই তারা করে ফেলেছিল ৩২ রান। এরপর বোলিংয়ে এসে শুরুতে তিনটি দারুণ বল করেন হাসান মাহমুদ। পরের বলেই তিনি সাজঘরে ফেরান রস অ্যাডায়ারকে। শেষ বলে হাসান চার হজম করলেও পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নেন তাসকিন।
এক ওভারে তিনটিসহ ম্যাচে তাসকিন ১৬ রানে নেন ৪ উইকেট। তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার এটি। বরবারই বড় স্বপ্নের কথা বলে থাকেন তিনি। হাসান মাহমুদও বলেছেন ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে দেখতে চান ৫০০ উইকেট। পেসারদের মধ্যে এই তাড়না কীভাবে এলো? আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তাসকিনকে।
জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সবাই সবার দিক থেকে চিন্তা করতেছে। ইউনিট হিসেবে যদি সবাই বিশ্বমানের বোলার থাকি, এই ইউনিটকে সামলাতে একটু সমস্যাই হবে। বড় বড় দলগুলোতে কিন্তু একজন না, চার-পাঁচজন বিশ্বমানের পেসার থাকে। আমরাও চাচ্ছি আমাদের ওরকম হোক। যেহেতু আমরা সবাই পরিবারের অংশ পেস বোলাররা, ভাইয়ের মতো। ’
‘একে-অন্যকে সাহায্য করছে, সবাই সবার ভালো চেয়ে কিন্তু শেষ দুই-আড়াই বছরে উন্নতি চোখে পড়ছে। এখনও আমাদের নেক্সট লেভেলে যাওয়া বাকি। আমি মনে করি আমরা ঠিক পথে আছি, মাইন্ডসেটটাও ভালো। ইন শা আল্লাহও আমাদের এই স্বপ্নটাও পূরণ হবে আমরা সবাই বিশ্বমানের হওয়ার। ’
তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান এতদিন ছিলেন বলার মতো পেস বোলার। এখন ধীরে ধীরে উঠে আসছেন এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদরা। দারুণ একটি ওয়ানডে সিরিজ কাটিয়ে আসা হাসান টি-টোয়েন্টিতেও শুরু করেছেন দারুণ। তরুণদের ভালো করা কি তাড়না দেয় সিনিয়রদেরও?
তাসকিন বলছিলেন, ‘আরও ভালো করুক, ১০ উইকেট করে নেক আমি চাই। কারণ আমি তো আগেই বললাম পাঁচজনই ভাই। সবাই যত ভালো করবে, প্রতিপক্ষ চাপ অনুভব করবে। ওরা কি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কি না? না। আমিই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি চাইবো সবাই মিলে ভালো করতে। তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটে একটা বার্তা যাবে যে বাংলাদেশের পেস বোলাররা উন্নতি করছে। ’
‘ও (হাসান) ১০ উইকেট নিলেও আমার কোনো ক্ষতি নাই বা আমার উন্নতি নাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি, আমার সেরা রেকর্ডটা ভেঙে আরও ভালো করতে চাই। দোয়া করি সবাই ভালো করুক। ’
বাংলাদেশ সময় : ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস