হেড কোচ ডেভিড হেম্প আগের দিনই এসেছেন বাংলাদেশ। পরদিন সকালে আসেন মিরপুরের একাডেমি।
একাডেমি ভবন থেকে বেরিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছবি তোলেন। পরে মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমে। খেলোয়াড়ী জীবনে বারমুডার হয়ে কেবল ২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, ছিল অবশ্য লম্বা কাউন্টি অভিজ্ঞতা। কিন্তু পরে কোচ হিসেবে ছিলেন পাকিস্তান নারী দলের দায়িত্বেও। তিনি জানালেন, ক্রিকেটারদের পরের ধাপে তোলাই দায়িত্ব তার।
হেম্প বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কীভাবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করবো। কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুত হতে আমরা উইকেট ঠিক করতে পারি। আমরা চাই একসঙ্গে হয়ে চন্ডিকা বা মূল দল কী চাইছে, কী ধরনের খেলোয়াড় তাদের দরকার, কোন স্কিলে কমতি আছে ওগুলোতে উন্নতি করা। এজন্যই তারা (এইচপির ক্রিকেটাররা) এখানে। আমরা তাদের সাহস যোগাবো নিজেদের সেরা অবস্থায় যেতে। এখান থেকে এমন খেলোয়াড় তুলে আনা সম্ভব যারা সারা দুনিয়ার সব কন্ডিশন ও দেশে খেলতে পারে। ’
দুই বছরের জন্য হেড কোচ হয়ে হেম্প এসেছেন। প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানালেন, জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও ‘এ’ দলের দায়িত্বে থাকা ডেভিড হেম্পের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার। সবাইকে একসূত্রে গেঁথে বাংলাদেশের জন্য বড় শিরোপায় চোখ রাখার সুরও ছিল হেম্পের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক সমন্বয়ের ব্যাপার আছে। এই গ্রুপের অনেকে আরও বড় জায়গায় খেলে। আট-নয়জন এখন ‘এ’ দলের হয়ে খেলছে। মূল পার্থক্য হচ্ছে বয়সে। আমরা তরুণ গ্রুপটাকে পেয়েছি। আশা করি তাদের দ্রুত এখানের চেয়ে উপরের দলগুলোতে দিতে পারবো। জাতীয় দলে তরুণ ক্রিকেটারদের দিতে চাই যদি পারি। অথবা অন্তত নির্বাচকদের সুযোগ করে দেওয়া যে দরকার হলে তাদের দিকে তাকাতে পারো। ’
‘আমি চন্ডিকার সঙ্গে কথা বলেছি কয়েক মাস। এখনো সিডন্সের সঙ্গে কথা হয়নি, তবে দ্রুতই বলবো। এটা কোনো কোচের বিষয় না। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও তারা কীভাবে বড় শিরোপার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারে সেটার ব্যাপার। কীভাবে র্যাংকিংয়ে তিন ফরম্যাটে আরও উপরে যেতে পারি, আইসিসি র্যাংকিংয়ের সেরা দশে আমরা কয়জন ক্রিকেটারকে নিতে পারি এসবও। সবগুলো প্যাকেজের যেন সঠিক শ্রেণিবিন্যাসটা করতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ