ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাকিবের পরামর্শেই সফল মিরাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ধর্মশালা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
সাকিবের পরামর্শেই সফল মিরাজ

পানি পানের বিরতি চলছে তখন। সাকিব আল হাসানের ব্যস্ততা অবশ্য অন্যকিছুতে।

মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ওভারে ৯ রান দিয়েছেন। তিনি আছেন ‘চিন্তায়ও’। মিরাজকে অভয় আর পরামর্শ দিলেন মিরাজ। বদলে যায় দৃশ্যপটও।  

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা মিরাজ শেষ করেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে। বল হাতে ৯ ওভারে দিয়েছেন স্রেফ ২৫ রান, নিয়েছেন তিন উইকেট। পরে ব্যাট হাতে ৭৩ বলে খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের ওই পরামর্শের কথাই শোনাচ্ছিলেন মিরাজ।

‘আমি কিন্তু প্রথম ওভারে ভালো বল করিনি। অবশ্যই নিজের মাইন্ডের ভেতর আমি একটু চিন্তিত ছিলাম। একটু নার্ভাস ছিলাম। কারণ, এখানে প্রথম ওভারে ভালো বল করতে পারিনি, ৯ রান দিয়েছি। কিন্তু সাকিব ভাই আমাকে একটা কথা বলেছিলেন। নেতিবাচক মাইন্ড সেটাপে বল করলে কখনও সফল হওয়া যায় না। সব সময় ইতিবাচক মাইন্ড সেটাপে করতে হবে। ’

‘এই সব বড় টুর্নামেন্টে যত ইতিবাচক থাকা যায়। ওরা যদি মেরে দেয় সমস্যা নাই, কিন্তু ওরা যেন তোকে চার্জ করে মারে এবং তুই ভালো জায়গায় বল করতে থাক। এই জিনিসগুলো যদি তুই করতে পারিস তাহলে ভালো হবে। তখন কিন্তু ড্রিংকস ব্রেক হয়ে গেছিল। ’

সাকিবের সঙ্গে পানি পানের ওই বিরতিতে কথোপকথন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘তখন আমাকে অনেকক্ষণ বুঝিয়েছিল (সাকিব ভাই)। এখানে এই কন্ডিশন এভাবে এভাবে বল করতে হয়। আমি নিজেকে আবার মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছি যে না আমাকে এই পজিশনে কীভাবে বল করতে হবে। এবং অবশ্যই সবাই সমর্থন করেছে। ভালো জায়গায় বল হয়েছে। ছোট ছোট এসব কথা দলের অনেক কাজে দেয়। ’

ধর্মশালায় সাধারণত থাকে ভীষণ ঠাণ্ডা। এবার অবশ্য তেমন নয়। রাত ও সকালের দিকে ছাড়া বাকি সময়ে বেশ গরমই পড়ে বরঞ্চ। তবে পেসাররা এখানে সাহায্য পান, এমন কথা শোনা যায় প্রায়ই। অথচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি উইকেটই নিয়েছেন সাকিব ও মিরাজ।  

এ নিয়ে মিরাজের ভাষ্য, ‘প্রথম দিকে পেস বোলাররা যখন ভালো করছিল না, তখন কিন্তু স্পিনারদের ওপর চাপটা চলে এসেছে। কিন্তু শুরুতে সাকিব ভাই দারুণ বোলিং করেছে। দুইটা উইকেট নিয়েছে। তখন থেকে কিন্তু দল উজ্জীবিত হয়েছে। তখন থেকে আমিও ভালো বোলিং করা শুরু করেছি। ’

‘তারপরে কিন্তু পেস বোলাররাও ভালো বোলিং করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ওরকম ছিল না, ধর্মশালায় এরকম টার্ন হবে। কিন্তু যখন ২–৩ ওভার আমি ও সাকিব ভাই বল করলাম, তখন বল একটু টার্ন করছিল। বল থেমে থেকে আসছিল। তখন তথ্যগুলো দিচ্ছিল বোলারের কাছে, আমি যদি ভালো জায়গায় বল করি এবং টার্ন পাই, আমি কিন্তু অধিনায়ককে সেটি জানাই। অধিনায়কও সে তথ্য বোলারদের জানিয়ে দেয়, এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে। সবার মধ্যেই কমিউনিকেশনটা খুব ভালো ছিল। এজন্য খুব ভালো হয়েছে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।