ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মোস্তাফিজ

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মোস্তাফিজ সংগৃহীত ছবি

ব্যাটিংয়ে তরুণদের ব্যর্থতায় মাঝারি সংগ্রহ পাওয়ার পর বোলিংয়ে ভালো শুরু পেল বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এই বাঁহাতি পেসারের লাফিয়ে উঠা বল নিউজিল্যান্ডের ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রর (৯) ব্যাট ছুঁয়ে জমা হলো উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।  

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড।  

এর আগে টস হেরে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৪৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। আজ ব্যাটিং অর্ডারে বেশকিছু পরিবর্তন এনেও সংগ্রহ বড় করতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে তরুণদের কাছ থেকে এলো না কাঙ্ক্ষিত পারফরম্যান্স। তবে ব্যতিক্রম দলের 'তিন বুড়ো' মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তিন অভিজ্ঞ ব্যাটার বিপদে হাল ধরলেও আড়াইশ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে হতাশার শুরুটা একদম প্রথম বল থেকেই। প্যাডে আসা বল ফাইন লেগে ক্যাচ দেন লিটন দাস। এরপর ৪০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আশার পালে হাওয়া দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিদ হাসান। কিন্তু তাদের জুটিও স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ।  

শুরুতে আউট হন তানজিদ হাসান। লোকি ফার্গুসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো কনওয়ের সঙ্গে। মিরাজ ভালো শুরু পেলেও লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। ৪ চারে ৪৬ বলে ৩০ রান করে ফার্গুসনের বলেই হেনরির হাতে ক্যাচ দেন মিরাজ।  

বাংলাদেশ দলের বিপদটা বেশি বড় হয় নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলে। ৫৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে দলটি। গ্লেন ফিলিপসের করা প্রথম বলেই কনওয়ের হাতে ক্যাচ দেন ৮ বলে ৭ রান করা শান্ত। সেখান থেকে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেই পুরোনো সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরেই।  

সাকিব শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতেই ছিলেন, সেটি আরও বাড়ে ক্র্যাম্প হলে। এরপর থেকে তিনি ব্যাট চালিয়ে দ্রুত কিছু রান করার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি। ফার্গুসনের বাউন্সার পুল করতে যান সাকিব, কিন্তু ক্যাচ উঠে যায়। অনেকটুকু দৌড়ে ক্যাচ নেন লাথাম। ৯৬ রানের জুটিটি ভাঙে সাকিব ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ বলে ৪০ রান করে ফিরলে।  

তার ফেরার পরও মুশফিকুর রহিম করছিলেন দারুণ। কিন্তু ম্যাট হেনরির নিচু হওয়া এক বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি, বলতে গেলে কিছুই করার ছিল না অভিজ্ঞ ব্যাটারের। ৬ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৭৫ বলে ৬৬ রান করে আউট হতে হয় মুশফিকুর রহিমকে।  

ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলের শিকার তাওহীদ হৃদয়ও সাতে নেমে ভালো করতে পারেননি। ২৫ বলে ১৩ রান করে এই ব্যাটার বোল্ডের স্লোয়ারে আগে ড্রাইভ করে সহজ ক্যাচ দেন স্যান্টনারের হাতে। শেষদিকে ঝড় তোলার প্রত্যাশা নিয়েই আটে নামানো হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ঠিকমতো ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না।  

তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর ৪৯ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসেই বলার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ১৯ বলে ১৭ রান করে ভূমিকা রাখেন তাসকিন আহমেদও। ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৫ রান।

বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার লোকি ফার্গুসন। ২টি করে উইকেট গেছে বোল্ট এবং ম্যাট হেনরির ঝুলিতে। আর গ্লেন ফিলিপস ও স্পিনার মিচেল স্যান্টনার নেন ১টি করে উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।