এ বছরের শুরুতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও একটা পরিচয়। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যোগ দেন আওয়ামী লীগে।
এরপর সাকিবের নামে হয়েছে হত্যা মামলা। ক্রিকেট মাঠে তার খেলা নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। সবমিলিয়ে মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন সাকিব। এর মধ্যে কানপুর টেস্টের আগে দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। সবকিছু আগের মতো থাকলে কি এমন সিদ্ধান্ত নিতেন? বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে এমন প্রশ্ন ছিল বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘খুব কঠিন একটা প্রশ্ন। একটা খেলোয়াড় অনেক কারণে অবসরে যেতে চায়, ইনজুরি বা মানসিক অবস্থা– সব মিলিয়ে তাকে তার সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে বলেই আমার ধারণা। তার ক্যারিয়ার কতটা লম্বা হতো এটা জানি না। এটার উত্তর সাকিবই ভালো দিতে পারবে। ’
সাকিবকে ছোটবেলা থেকে দেখেছেন কোচ নাজমূল আবেদীন ফাহিম, তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কাজও করেছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি বিসিবি পরিচালক হয়েছেন। সাকিবের অবসরের ব্যাপারে কি আগে কথা হয়েছিল? ফাহিম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা না বদলালে সাকিব অবসর নিতেন কি না সেটিও।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যেমন কথা হয়েছে, তেমন কথা হয়েছে। আমার মনে হয় শুধু নিজের ক্রিকেট নিয়ে ভেবেছে সেটা না, দেশের ক্রিকেট নিয়েও ভেবেছে। আমি শুরু থেকেই জানতাম ওর ইচ্ছা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়ার। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কিছুটা আলাপ হচ্ছিল। আমার মনে হয় এগুলো একেবারে হঠাৎ করে হচ্ছে তা না। বেশ কিছুদিন ধরেই এসব চিন্তা ভাবনা করছে। ’
‘সব ঘটনা যদি স্বাভাবিক থাকত আমার মনে হয় তখনও এসব কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকত বোধ হয়। নিজেও বোধ হয় আস্তে আস্তে উপলব্ধি করেছে যে ফরম্যাট কমিয়ে দিয়ে বা কম করে খেলে, শারীরিক সক্ষমতার সঙ্গে মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস