ম্যাচ শুরু হলো প্রায় এক ঘণ্টা পিছিয়ে। কিন্তু তবুও মিললো না স্বস্তি।
কানপুরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রথম দিনশেষে ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা।
ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। প্রায় ৯ বছর পর ঘরের মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করেনি ভারত। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টসের সময় জানান, উইকেট ব্যাটারদের সাহায্য করবে বলে মনে হচ্ছে তার।
প্রথম দুই সেশন পর তার কথা খুব বেশি ভুল প্রমাণ হয়নি। দুই ওপেনার সাবধানী শুরু করেন, প্রথম আধঘণ্টায় কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু বেশি লম্বাও হয়নি জাকির হাসান-সাদমান ইসলাম জুটি।
অকাশ দ্বীপের ওভারে ২৪ বলে শূন্য রান করে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন জাকির। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে ফেরার তালিকায় তিনি চতুর্থ। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ বলে শূন্য রানে আউট হন মনজুরুল ইসলাম, সেটিই এখনও সর্বোচ্চ।
জাকিরের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি তার উদ্বোধনী সঙ্গী সাদমানও। ৩৬ বলে ২৪ রান করে তিনি আকাশের ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হন। শুরুতে অবশ্য আউট দেননি আম্পায়ার, মনে হচ্ছিল বল একটু উঁচু জায়গায় আঘাত করতো। রিভিউতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পে লাগতো বল।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পর মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে টেনে নেন। স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরই রবীচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হন শান্ত। তার বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৫৭ বলে ৩১ রান করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর মুশফিকুর রহিম সঙ্গী হন মুমিনুল। তাদের জুটিতেই একশ পেরোয় বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টি নেমে আসে। ঝড়ো বৃষ্টিতে শেষ সেশন শুরুর আগেই দিনের খেলা সমাপ্ত হওয়ার ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। ১৩ বলে ৬ রানে মুশফিক ও ৮১ বলে ৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করবেন মুমিনুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ