আগের দিন চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ছিল চাপে। প্রতিপক্ষে পাঁচশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এমন ব্যাটিং ছিল হতাশার।
চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। আর লাঞ্চ বিরতির আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করেছে বাংলাদেশ।
চেনা উইকেট দ্রুত অচেনা হয়ে যাচ্ছে, এমন আঁচ পাওয়া গিয়েছিল দ্বিতীয় দিনের শেষদিকে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার পরই। চার উইকেট তারা হারিয়েছিল ৩৮ রানে। এমনকি নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা হাসান মাহমুদও সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন।
তৃতীয় দিনের শুরুটা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে করেন মুমিনুল হক। এ দুজনের ওপরই নির্ভর করছিল বাংলাদেশের শুরুর সময়টা। অধিনায়ক শান্ত অবশ্য তৃতীয় দিনে সাজঘরে ফিরতে সময় নিয়েছেন স্রেফ চার ওভার।
কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন শান্ত। ১৭ বলে তিনি করেন ৯ রান। টানা অফ ফর্মের সঙ্গে অধিনায়কত্ব ছাড়া ইস্যুতে বেশ চাপেই আছেন শান্ত, সেটি হয়তো আরও বাড়বে এই ইনিংস বা ম্যাচের পর।
পরের ওভার করতে আসেন ড্যান পিটারসন। তার তৃতীয় বলে মুখোমুখি হয়ে আউট হয়ে যান মুশফিক। স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো টনি ডি জর্জির হাতে তিনি ক্যাচ দেন দুই বল খেলে কোনো রান করার আগেই। রাবাদা নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন দুই উইকেট।
শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে। আরও এক ব্যাটার রাবাদার বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩ বলে ১ রান করেন মিরাজ। কিপিংয়ে ভালো সময় কাটাতে না পারা অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এরপর এলবিডব্লিউ হন রাবাদার বলে।
৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন সংগ্রহে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ২২ বছর পর তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি হতে দেননি তাইজুল ও মুমিনুল।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতি অবধি ১৩৯ বলে ৮৯ রানের জুটি তাদের। ৬৭ বল খেলে ১৮ রান করেছেন তাইজুল। ৯৭ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত আছেন মুমিনুল।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ