ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ রজব ১৪৪৬

ক্রিকেট

চার-ছক্কায় বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বরিশালের জয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
চার-ছক্কায় বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বরিশালের জয় ছবি: ফরচুন বরিশাল

ইয়াসির আলি রাব্বির ঝড়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল দুর্বার রাজশাহী। রান তাড়ায় নেমে ফরচুন বরিশালের জন্য কঠিনই মনে হচ্ছিল অনেক্ষণ।

তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-ফাহিম আশরাফের ঝড়ে সহজ জয় পেয়েছে তারা। চার-ছক্কার বিপিএল যেন সত্যিই এবার ‘নতুন’ কিছু দেখিয়েছে অন্তত উদ্বোধনী ম্যাচে।

সোমবার মিরপুরে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করেছে রাজশাহী। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ১১ বল আগেই জয় পায় বরিশাল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দুই বলে কোনো রান করার আগেই কাইল মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে যান জিসান আলম। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রানের ফুলঝুঁড়ি ছিল তার ব্যাটে, প্রত্যাশার চাপ নিয়ে খেলতে নেমে বিপিএলে হয়েছেন ব্যর্থ।  

আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকেও এক ওভার পর এসে ফেরান মেয়ার্স। তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন হারিস। কিন্তু এরপরই হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি।  

পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে তারা। শুরুতে কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা ইয়াসির-বিজয় জুটি পরে রীতিমতো ঝড় তোলেন। বিশেষত ইয়াসিরের ব্যাটে ঝড় ছিল। রিপন মন্ডলের এক ওভারে তিনি নেন ১৬ রান।  

ইয়াসিরের সঙ্গে ৮৭ বলে ১৪০ রানের জুটির পর আউট হন এনামুল। ৫১ বলে ৬৫ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তবে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৪৭ বলে ৯৪ রান করেন তিনি।  

রান তাড়ায় নেমে একদম প্রথম বলেই আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে এসে তাসকিন আহমেদ ফেরান তামিম ইকবালকে। তিনিও এলবিডব্লিউ হন ৫ বলে ৭ রান করে। চতুর্থ ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা। ৫ বলে ৬ রান করে রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ দেন মেয়ার্স।  

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু সেটি লম্বা হয়নি। ১১ বলে ১৩ রান করে হাসান মুরাদের বলে ক্যাচ দেন মুশফিক। তাওহীদ হৃদয়ও কিছুক্ষণ পর ২৩ বলে ৩২ রান করে আউট হয়ে যান।  

তাদের বিদায়ের পর বরিশাল পাঠায় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। তিনিও কাজে আসেন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। ২৫ বলে ৫১ রান করে শাহিন আউট হন।  

শেষ সাত ওভারে তাদের দরকার ছিল ৮৫ রান। খেলার গতিপথ বদলে দেওয়ার শুরুটা করেন ফাহিম আশরাফ। হাসান মুরাদের ১৫তম ওভারের শেষ তিন বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের ওভারে মৃত্যুঞ্জয় এসে দেন ১৯ রান।  

সমীকরণ সহজ হয়ে আসে ততক্ষণে। ২৪ বলে দরকার ৩৯ রান। সবকিছু একদম চলে আসে নাগালের ভেতর। সামারাকুনের ১৭তম ওভারে ২৫ রান দেন তিনি। ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ, ২১ বলে ফাহিম আশরাফ। তাদের জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৮৮ রান। ২৬ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৬ ও ফাহিম আশরাফ ২১ বলে ১ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।