টানা অফ-ফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়েছেন লিটন দাস। এই উইকেটকিপার-ব্যাটারের জায়গায় বিকল্প ওপেনার হিসেবে দলে ঢুকেছেন পারভেজ হোসেন ইমন।
কিন্তু পারভেজ নিজেও ফর্মে নেই। তাছাড়া এখনও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি তার। স্বাভাবিকভাবেই লিটনের মতো অভিজ্ঞ কাউকে বাদ দিয়ে নতুন মুখ পারভেজকে দলে নেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নির্বাচক কমিটিকে। এর জবাবে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু স্বীকার করেছেন, পারভেজের পারফরম্যান্স অতোটা ভালো হয়। তবে তাকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে খেলার ধরনের কথা উল্লেখ করেছেন লিপু।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার পর পারভেজকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লিপু বলেন, 'পারভেজ হোসেন ইমনের পারফরম্যান্স আহামরি নয়, এটা ঠিক। তবে আমরা যে সাদা বলের ক্রিকেটে পাওয়ার প্লেতে যেমন আগ্রাসী ও ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটিং খুঁজছি, আমার মনে হয়, সেটি ওর মধ্যে আছে। কোনো কারণে যদি যদি দুজন ওপেনারের মধ্যে তাকে থার্ড চয়েজ হিসেবে নিতে হয়, সে একই টেম্পোতে ব্যাটিং করতে পারবে। সে দলকে জেতানোর জন্য আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। এটাই মুখ্য বিষয়। '
পারভেজ এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু একাদশে রাখা হয়নি তাকে। এর কারণ ব্যাখ্যায় লিপু বলেন, 'একাদশ নির্বাচনে আমরা নির্বাচকরা হস্তক্ষেপ করি না। অধিনায়ক ও কোচের মতামতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তারা যাকে উপযুক্ত মনে করে তাকেই খেলায়। এ কারণ হয়তো পারবভেজকে তারা খেলাতে পারেননি। দল গঠনের সময় আমাদেরও মনে হয়, এই খেলোয়াড় হয়তো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা হয়, কেন নিচ্ছি সেই যৌক্তিকতা তুলে ধরি। জুনিয়র তামিমের অ্যাপ্রোচের সঙ্গে মিল রেখে আমরা একজনকে খুঁজেছি। ’
১৫ সদস্যের স্কোয়াডে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম থাকছেন মূল ওপেনার হিসেবে। তাদের বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য পারভেজকে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫৪ ম্যাচ খেলে চারটি সেঞ্চুরি আছে তার, ব্যাটিং গড় ৩৫.৬১, স্ট্রাইক রেট ৮৮.৪০।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ৬২৩ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন পারভেজ। সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনটি, ফিফটি ছিল। ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৪৮, স্ট্রাইক রেট ৮৯.১২। জাতীয় দলের জার্সিতে ৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র ৪৯ রান করলেও, গত মাসে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, তানজিদ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিম হাসান, নাহিদ রানা, নাসুম আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, জাকের আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
এমএইচএম